Logo
Logo
×

জাতীয়

সংবাদপত্র টিকিয়ে রাখতে সরকারের সহযোগিতা জরুরি: অ্যাড. সালমা ইসলাম

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪, ১০:২৬ পিএম

সংবাদপত্র টিকিয়ে রাখতে সরকারের সহযোগিতা জরুরি: অ্যাড. সালমা ইসলাম

যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও যুগান্তর প্রকাশক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি বলেন, বর্তমানে অনলাইন সাংবাদিকতার ডোমাডোলের মধ্যে অফলাইন সাংবাদিকতা তথা ছাপানো কাগজের পত্রিকা টিকিয়ে রাখা বড় চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্রমেই বিজ্ঞাপনের সংখ্যা ও পরিসর কমে আসছে। বেশির ভাগ বিজ্ঞাপন চলে যাচ্ছে অনলাইনের দখলে। 

তিনি আরও বলেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রস্তাবিত বাজেটে গণমাধ্যমকে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই। এজন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সমর্থন জরুরি। 

সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব এবং জাতীয় দৈনিকের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত বাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনার বিষয় ছিল ‘অর্থনীতির চালচিত্র ও প্রস্তাবিত বাজেট ২০২৪-২৫।’

এসময় অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি বলেন, বর্তমানে অনলাইন সাংবাদিকতার ডামাডোলের মধ্যে অফলাইন সাংবাদিকতা তথা ছাপানো কাগজের পত্রিকা টিকিয়ে রাখা বড় চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্রমেই বিজ্ঞাপনের সংখ্যা ও পরিসর কমে আসছে। বেশির ভাগ বিজ্ঞাপন চলে যাচ্ছে অনলাইনের দখলে। বিশেষ করে ইউটিউব ও ফেসবুকে। অথচ অনলাইনের চেয়ে অফলাইনে পত্রিকা পরিচালনায় খরচ অনেক বেশি। কাগজ-কালিসহ এর যাবতীয় খরচ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আবার মূল্যস্ফীতির পাগলা ঘোড়া এবং ডলারের অব্যাহত দাম বৃদ্ধি সবার জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলেছে। এ রকম দুরবস্থার মধ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের বেতন-ভাতাও বাড়াতে হচ্ছে। এতে লোকসান দিয়ে পত্রিকা চালাতে হয়। 

তিনি বলেন, সংবাদপত্রকে সরকার যদি শিল্প হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে, তাহলে এ খাতকে বাঁচাতে সরকারের পক্ষ থেকে আরও সহনশীল নীতি নিয়ে আসতে হবে। সংবাদপত্রের সব খাত থেকে সব ধরনের ডিউটি তুলে নিতে হবে। আমরা যাতে ওয়েজবোর্ড অনুসারে পত্রিকা চালাতে পারি, সে সুযোগ সরকারকেই করে দিতে হবে। 

তার মতে, বেসরকারি খাত সামনে এগোতে না পারলে এক সময় সবকিছু কলাপস করতে বাধ্য। কারণ কর্মসংস্থানের ৮০ ভাগই পূরণ করে বেসরকারি খাত। তাই সরকারের কাছে দাবি, মিডিয়াকে শক্তিশালী করতে হলে সরকারকে আরও উদার নীতি গ্রহণ করতে হবে। মালিক, সাংবাদিক ও কর্মচারীরা যেন কোনো ধরনের চাপও অনুভব না করে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, যে দেশে গণমাধ্যম শক্তিশালী হবে না, সে দেশে গণতন্ত্র কখনো শক্তিশালী হতে পারে না। আর দুর্বল গণতন্ত্র দিয়ে দেশ চালানো সম্ভব হলেও দীর্ঘমেয়াদে তা বড় বিপদ ডেকে আনে। বিশেষ করে একটা পর্যায়ে দেশ নানারকম বিদেশি শক্তির ফাঁদে আটকা পড়ে যায়। ফলে সবার আগে দেশ। তাই দেশের স্বার্থে সবাইকে এক এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমি যত বড় ধনী শিল্পপতি হই না কেন, পাশের বাড়িতে হাহাকার বিরাজ করলে আমিও কিন্তু শান্তিতে ঘুমাতে পারব না। 

যুগান্তর প্রকাশক আরও বলেন, বিজ্ঞাপন বাবদ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে এখনো বিপুল অঙ্কের টাকা বকেয়া পড়ে আছে। সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না নিলে অনেক পত্রিকা তার কর্মীদের বেতন-ভাতা দিতে পারবে না। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রস্তাবিত বাজেটে গণমাধ্যমকে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই। এজন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সমর্থন জরুরি। 

এ সময় সংবাদপত্র টিকিয়ে রাখতে বিজ্ঞাপনের মূল্য বাড়ানো এবং বকেয়া টাকা পরিশোধে সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়। 

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নোয়াব সভাপতি একে আজাদ এমপি, অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, সাবেক অর্থসচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, বেসরকারি সংস্থা সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম