কত শতাংশ ভোট পড়লে সন্তুষ্ট হতেন, জানালেন সিইসি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম
ফাইল ছবি
সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬০-৭০ শতাংশ ভোট পড়লে আরও সন্তুষ্ট হতেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রোববার নির্বাচন ভবনে তিনি বলেন, নির্বাচনে হতাহতের খবর পাইনি। ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি এমনটা হয়নি। সেদিক থেকে এটা ইতিবাচক। সেই দিক থেকে আমরা সন্তুষ্ট। তবে ভোট পড়ার সংখ্যা ৬০ শতাংশ, ৭০ শতাংশ যদি হতো তাহলে আপনাদের মতো আমরাও আরও সন্তুষ্ট হতাম।
আশা করি, মানুষ আগামীতে আরও সচেতন হবে এবং সুশাসনের বিষয় নিয়ে আমাদের জনগণকে উপলব্ধি করাতে হবে এবং তারা সুশাসনের যে গণতান্ত্রিক চেতনা তারাও হয়তো উপলব্ধি করে ভোটমুখী হবে।
পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত, সিসিটিভির ফুটেজে যা দেখা গেল
এদিন উপকূলীয় ১৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়। ওইসব উপজেলায় ২৯ মে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে স্থগিত করা হয়।
গতকাল এসব উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি জানান, রোববার ১ হাজার ১৮০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৩৫টির তথ্য পেয়েছি। এসব কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৪৩ দশমিক ৯১ শতাংশ।
এবার উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম থাকার বিষয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনে ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছিল না। নির্বাচনে যখন রাজনৈতিক দলের ব্যাপক অংশগ্রহণ হয়, তখন ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা বেড়ে যায়। স্বাভাবিকভাবে সেদিক থেকে ভোট কম পড়ার এটি একটি কারণ হয়ে থাকতে পারে।
আর ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার দায়িত্ব প্রার্থীদের। প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে কেন্দ্রে যাওয়ার আবেদন জানাতে পারে। এতে ভোটারা কতটুকু সাড়া দেবে, তা তাদের ওপর নির্ভর করে। তারা রাজনৈতিকভাবে সচেতন। তারা সেটা বিবেচনা করতে পারে। তবে আমাদের জন্য সেটা বিবেচ্য নয়। আমাদের জন্য বিবেচ্য হচ্ছে ভোটাররা তাদের ভোট যেন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করতে পাররে। আমরা নির্বাচনে ভোটাররা যেন তাদের ভোট দিতে পারে সেই পরিবেশ বজায় রাখার ওপর বিশেষ করে জোর দিয়েছি।
তিনি বলেন, এবার নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল। দেখা গেছে, দুই-একটি দল ছাড়া রাজনৈতিক প্রতীকে অংশগ্রহণ করেনি। যার ফলে নির্বাচনটা আগের মতো স্থানীয়ভাবে ব্যক্তিভিত্তিক হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করেছেন, তবে রাজনৈতিক পরিচয়ে নয়।
গতকাল ১৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণের বিষয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রোববার ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজন পোলিং অফিসার নির্বাচনি অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। এই দিক থেকে আমরা কঠোর ছিলাম।
তিনি বলেন, নির্বাচনে মোট চারজন আহত হয়েছেন। দুজন গুরুতর। সেখানে মোটামুটি বলা যায়, কোপাকুপি হয়েছে। খুব যে গুরুতর ওরকম কিছু নয়।
তিনি বলেন, নির্বাচনে কিছু কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেই থাকে। অর্থের লেনদেন হয়ে থাকে। অনৈতিকভাবে অর্থের লেনদেনের খবরও আমরা পেয়ে থাকি। এগুলো বাস্তবতা। এগুলো উত্তরণের চেষ্টা আমরা আলাপ-আলোচনা করে কীভাবে ঠিক করা যায়, তা ঠিক করব। তবে সার্বিকভাবে আমার মনে হয়, নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ হয়েছে। প্রশাসন ও পুলিশের যে ভূমিকা তা প্রশংসনীয়। আমাদের নির্দেশনা তারা কঠোরভাবে প্রতিপালন করছেন। রাজনৈতিক সদিচ্ছাও ছিল খুব ইতিবাচক।