আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে: আইনমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৪, ০৭:৩২ পিএম
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতামূলক মনোভাব এবং ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সবসময় বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এবং বিচারকদের পেশাগত সুযোগ-সুবিধা ও বিচারকর্মে স্বাধীনতা নিশ্চিত করার বিষয়ে আন্তরিক। শনিবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট অডিটোরিয়ামে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন জুডিসিয়ারি অ্যাক্রোস দ্য বর্ডার্স অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আনিসুল হক বলেন, দেশের জাতীয় অগ্রগতি ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন নীতির ভিত্তিতে সুপ্রতিষ্ঠিত। এসব নীতির প্রতি বর্তমান সরকার দৃঢ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রণীত সংবিধানের আলোকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ফলে বর্তমানে প্রায় সব ক্ষেত্রেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিচারকরা স্বাধীনভাবে ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাচ্ছে।
বিচার বিভাগের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে সরকারের অগ্রণী ভূমিকা পালনের কথা উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, বিচারকদের কর্মক্ষেত্রের সুযোগ-সুবিধা, বেতন-ভাতা, আবাসন এবং পরিবহনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করা হয়েছে। ফলে নাগরিকদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগ দক্ষতার সাথে ও কার্যকরভাবে কাজ করছে।
মি. হক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গড়া ডিজিটাল বাংলাদেশের ওপর ভিত্তি করে আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রা শুরু করেছি, যেখানে থাকবে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সমাজ। জনগণের জন্য ন্যায়বিচার, গণতান্ত্রিক অধিকার, আর্থ-সামাজিক অধিকার এবং সাংস্কৃতিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য স্মার্ট বিচার বিভাগ অপরিহার্য।
স্মার্ট বিচার বিভাগ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তির সমন্বয় এবং বিচার প্রক্রিয়ার আধুনিকায়নের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থার মধ্যে স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং প্রবেশাধিকার বৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে শুধু বিচার প্রশাসনের উন্নতিই হবে না বরং বিচারব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থাও জোরদার হবে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নেপালের প্রধান বিচারপতি বিসম্ভর প্রসাদ শ্রেষ্ঠা, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, ভুটানের হাইকোর্টের বিচারপতি লবজাং রিনজিন ইয়ারগে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন ও বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।