বাজেটে শুল্ক পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দাম উঠানামা করে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন পণ্য ও সেবায় শুল্কের হার রদবদল করা হয়েছে। ফলে বাজেট পাস হলে এসব জিনিসের দামেও পরিবর্তন আসবে।
বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন। নতুন বাজেট অনুযায়ী বেশ কিছু পণ্যের দাম বাড়ছে। কিন্তু কেন এসব পণ্যের দাম বাড়ছে, চলুন তার কারণ জেনে নেওয়া যাক।
এসএমএস-কলরেট: সম্পূরক শুল্ক বাড়ায় মোবাইল ফোনের এসএমএস ও কলরেটে খরচ বাড়তে পারে।
জ্বালানি খাত: ফার্নেস অয়েল, লুব অয়েল, মিনারেল লুব অয়েল ও বেজ অয়েলের ন্যূনতম শুল্কায়ন মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করার প্রস্তাব করায় এসব পণ্যের শুল্ককর বাড়তে পারে।
সিগারেট: প্রতিবারের মতো এবারও সিগারেট উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক ও মূল্যস্তর বাড়ানো হয়েছে। তাই সব ধরনের সিগারেটের দাম বাড়তে পারে। সিগারেটের ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্তরে সম্পূরক শুল্ক ৬০ থেকে ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
ফিলিং স্টেশন স্থাপন, সিএনজি কনভার্সন কিট ও সিলিন্ডার: সিএনজি এলপিজি ফিলিং স্টেশন স্থাপন, সিএনজি কনভার্সন কিট, সিলিন্ডার অন্যান্য সরঞ্জামের আমদানি শুল্ক তিন শতাংশ থেকে পাঁচ শতাংশ করার প্রস্তাব করায় ব্যয় বাড়তে পারে এ খাতে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইকুইপমেন্ট: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশাপাশি বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কেন্দ্রের জন্য ইকুইপমেন্ট ও ইরেকশন ম্যাটেরিয়াল আমদানিতে শূন্য শতাংশ শুল্ককর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে।
ইপিজেডের আমদানিকৃত যন্ত্রপাতি ও নির্মাণ সামগ্রী: অর্থনৈতিক অঞ্চলের মূলধনী যন্ত্রপাতি ও নির্মাণ সামগ্রী আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা (শুল্কমুক্ত) পরিবর্তে এক শতাংশ হারে শুল্ককর আরোপের সুপারিশ করা হয়েছে।
এয়ারকন্ডিশনার ও রেফ্রিজারেটর: দেশে এসি উৎপাদনে ব্যবহৃত কম্প্রেসার ও স্টিল সিটের পাশাপাশি রেফ্রিজারেটরের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। ফলে এয়ারকন্ডিশনার ও রেফ্রিজারেটরের দাম বাড়তে পারে।
পানির ফিল্টার: পানি পরিশোধন যন্ত্র দেশে উৎপাদন হওয়ায় পণ্যটি আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে গৃহস্থালিতে ব্যবহৃত পানির ফিল্টারের দাম বাড়তে পারে।
এলইডি বাল্ব: এনার্জি সেভিং বাল্ব উৎপাদনের উপকরণ আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। তাই এলইডি বাল্বের দাম বাড়তে পারে।
গাড়ি কনভার্সন খরচ: গাড়ি সিএনজি-এলপিজিতে কনভার্সনের ব্যবহৃত কিট, সিলিন্ডার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক তিন শতাংশ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে। এ কারণে গাড়ি কনভার্সন খরচ বাড়তে পারে।
কাজু বাদাম: দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়ার অংশ হিসেবে খোসা ছাড়ানো কাজু বাদাম আমদানিতে শুল্ক পাঁচ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এতে কাজু বাদামের দাম বাড়তে পারে।