Logo
Logo
×

জাতীয়

অরিত্রীর আত্মহত্যা পঞ্চমবার পেছাল মামলার রায়

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম

অরিত্রীর আত্মহত্যা পঞ্চমবার পেছাল মামলার রায়

বিচারক ছুটিতে থাকায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে করা মামলার রায় পঞ্চমবারের মতো পিছিয়েছে।

সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ১২-এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে বিচারক ছুটিতে থাকায় রায় ঘোষণা করা হয়নি। এজন্য ভারপ্রাপ্ত বিচারক রায়ের নতুন তারিখ ধার্য করবেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাহিমুল করিম আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে এ মামলায় গত ২১ জানুয়ারি, ৮ ফেব্র“য়ারি, ৩ মার্চ ও ৯ এপ্রিল রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। গত বছরের ২৭ নভেম্বর একই আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন।

মামলার দুই আসামি হলেন-ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাময়িক বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিনাত আক্তার।

২০১৯ সালের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন। এরপর ওই বছরের ১৬ জুলাই বিচারক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন এবং দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে যে ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই ধারায় সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড অথবা অনধিক ১০ বছর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। মামলাটিতে ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে-এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে দিলীপ অধিকারী দেখেন-অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে। ওই ঘটনায় ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম