ফাইল ছবি
কলকাতায় খুন হওয়া সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন আবেদনের ১২দিন পর ভারতের ভিসা পেয়েছেন।
এখন তারা ভারতে যাওয়ার জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সবুজ সংকেতের অপেক্ষা করছেন।
সোমবার রাতে আনারের বক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পাসপোর্টসহ ভিসা হাতে পেয়েছি। আমরা ঢাকার ডিবির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। তারা আমাদের বলেছে
আমাদের সঙ্গে ডিবির একজন প্রতিনিধিও ভারতে যাবেন। আমরা তাদের সবুজ সংকেতের অপেক্ষা করছি।
এমপি আনার খুন: আদালতে স্বীকারোক্তি দিলেন শিলাস্তি
দুই দেশের গোয়েন্দাদের ভাষ্য মতে, কলকাতার নিউ টাউনে সঞ্জিবা গার্ডেনসের যে ফ্ল্যাটে আনারকে হত্যা করা হয়েছে, তার সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কিছু মাংসের টুকরা। সেগুলো এমপি আনারের কি না, তা জানতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তার রক্তের সম্পর্কীয় স্বজনদের সেখানে যাওয়া প্রয়োজন।
এজন্য গত ২২ মে ডরিন ও রউফ ভিসার জন্য ভারতীয় দূতাবাসে আবেদন করেছিলেন।
রউফ বলেন, আনারের এক ভাইও তাদের সঙ্গে কলকাতা যাবেন। তার আগে থেকেই ভারতের ভিসা রয়েছে। তবে একসঙ্গে যাবেন বলে তিনিও অপেক্ষায় রয়েছেন।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য আনার কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
এদিকে গত ১১ মে তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। প্রথমে কলকাতার বরাহনগরে তার বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন।
এরপর স্থানীয় থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস। তদন্ত শুরু হয় দুই দেশে। এরপর ২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, নিউ টাউনের এক বাড়িতে খুন হয়েছেন এমপি আনার।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের দেওয়া তথ্যে বাংলাদেশে তিনজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তারা এখন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে রয়েছেন।
ওই তিনজন হলেন- আমানুল্লা সাঈদ ওরফে শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুঁইয়া (৫৬), তানভীর ভুঁইয়া (৩০) ও সেলেস্টি রহমান (২২)।
এদিকে এমপি আজিমের খুনের ঘটনার তদন্তের স্বার্থে ভারতীয় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বাংলাদেশ ঘুরে যাওয়ার একদিন পর ২৫ মে কলকাতায় যান বাংলাদেশের ডিবির তিন কর্মকর্তা। তারা কসাই জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং তাকে নিয়ে সেই বাড়ি ঘুরে দেখেন, যেখানে আনারকে হত্যার কথা বলা হচ্ছে।
ঢাকার ডিবি কর্মকর্তাদের কলকাতায় থাকার সময় ওই বাড়ির অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের সেপটিক ট্যাংক থেকে মঙ্গলবার বেশ কিছু মাংসের টুকরো উদ্ধার করার কথা জানায় পুলিশ। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পরে তা ভারতের কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়। এই ডিএনএ নমুনা মেলানোর জন্য রক্তসম্পর্কীয় স্বজন প্রয়োজন হয়।