২০২৫ সাল থেকে ‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ দেওয়া হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ১০:২৬ পিএম
ফাইল ছবি
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৫ সাল থেকে প্রতি দুই বছর পর পর সম্মানজনক ‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেছেন, পদক দেওয়ার বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক জুরি বোর্ড গঠন করা হবে। সেই সঙ্গে একটি নীতিমালাও করা হবে। এ নীতিমালার আওতায় বাংলাদেশ ও বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত বা বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে কয়েকটি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পুরস্কার দেওয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু: এ চ্যাম্পিয়ন অব ওয়ার্ল্ড পিস’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর বিআইআইএসএস অডিটোরিয়ামে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা, যুদ্ধ নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ ও অবদান রাখা, দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখা, টেকসই সামাজিক, পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ সাধন- এসব ক্ষেত্রগুলো পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেয়া হবে।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বিশ্বশান্তি জীবনের মূলনীতি। নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত ও স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষ, যেকোনো স্থানেই হোক না কেন, তাদের সঙ্গে আমি রয়েছি। আমরা চাই বিশ্বের সর্বত্র শান্তি বজায় থাকুক, তাকে সুসংহত করা হোক। শান্তির জন্য ব্যাকুলতা ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের অপরিহার্য অংশ। বঙ্গবন্ধুর এসব চিন্তাধারা এবং শান্তির জন্য আহ্বান পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী মূল্যায়ন হয়।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শাহরিয়ার আলম এমপি, বিশ্ব শান্তি পরিষদ বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইআইএসএস এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবু বকর সিদ্দিক খান। সেমিনারে তিনটি বিষয়ে উপস্থাপনা করেন বিআইআইএসএস’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো এম আশিক রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির ও রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস। উপস্থাপনাগুলোর পর ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব।
বিআইআইএসএস’র চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার সেমিনারটি সঞ্চালনা ও সমাপনী বক্তব্য দেন।