Logo
Logo
×

জাতীয়

উপকূলজুড়ে দেড় লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত: প্রতিমন্ত্রী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৪, ০৮:৫০ পিএম

উপকূলজুড়ে দেড় লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত: প্রতিমন্ত্রী

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে উপকূলজুড়ে দেড় লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।

সোমবার সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ঘূর্ণিঝড় রেমালে মোট ১৯টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলাগুলো হলো, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও যশোর।

এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার সংখ্যা ১০৭ এবং ইউনিয়ন ও পৌরসভার সংখ্যা ৯১৪। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি জানান, এই ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় এলাকার ৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে, আর আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি ঘরবাড়ি। সর্বমোট দেড় লাখের বেশি ঘরবাড়ি আংশিক অথবা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতকাল সন্ধ্যা থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় আঘাত হানে। যার প্রভাব দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় আজও অব্যাহত রয়েছে। রেমালের কারণে উপকূলীয় এলাকায় পানি ঢুকে মানুষের স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত করেছে। বেশ কিছু এলাকায় ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশব্যাপী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সরকারের সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দুর্যোগপূর্ব কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। এখন দুর্যোগ-পরবর্তী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি।

মহিববুর রহমান বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে পূর্বাভাস দিয়েছে এবং আগাম কার্যাবলী (এন্টিসিপেটরি  অ্যাকশন) ও সাড়া প্রদানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করেছে। আমরা আঞ্চলিক বিশেষায়িত আবহাওয়া কেন্দ্রের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি। এর পাশাপাশি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক পূর্বাভাস মডেল নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সময়োপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ ঘূর্ণিঝড়টি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক তথ্য বিনিময়ের লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এনডিআরসিসি ২৪ ঘণ্টা খোলা রয়েছে। আজ সকাল থেকে আমরা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করে যাচ্ছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে উপকূলীয় জেলাসমূহের সংসদ সদস্যদের সাথে ফোনে কথা বলে স্থানীয় মানুষের খোঁজ-খবর নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম