পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে এ ঘটনা মানতে পারছি না: হারুন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৪, ০৫:০৩ পিএম
ফাইল ছবি
এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার খুন হয়েছেন ভারতের মাটিতে। এখনো তার লাশ পাওয়া যায়নি। খুনের রহস্য উদঘাটন এবং তার খণ্ডিত দেহের অংশ খুঁজে বের করতে কলকাতায় গেছে বাংলাদেশে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল। যার নেতৃত্বে রয়েছেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ।
গ্রেফতার কসাই জিহাদ হাওলাদারকে নিয়ে সোমবার কলকাতার বিভিন্ন স্থানে তল্লাশিতে নামেন হারুন। এ সময় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি।
সে সবকিছুই জানে, অথচ এখনো কেন গ্রেফতার হয়নি, প্রশ্ন আনারকন্যার
সাংবাদিকদের ডিবি হারুন বলেন, আমরা দুবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযুক্ত জিহাদকে টিআই প্যারেডের জন্য ঘটনাস্থলে নিয়ে গেছি। সোমবার আমরা জিহাদকে নিয়ে ফের এই বাগজোলা খালে যেখানে লাশ ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেখানে এসেছি। লাশ উদ্ধারের চেষ্টায় ভারতীয় পুলিশ যথেষ্ট কাজ করছে। আমরা তাদের পাশে আছি। লাশ উদ্ধারের ক্ষেত্রে তাদের যে আন্তরিকতা, একনিষ্ঠ প্রচেষ্টা তাতে আমাদের আশা স্বল্প সময়ের মধ্যে লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের একজন এমপিকে কলকাতায় হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় আমরা বাংলাদেশে তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। কলকাতা পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। এটা এমন একটা ঘটনা যে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে আমি এটা মেনে নিতে পারছি না। একটা সভ্য সমাজে এত বড় নিষ্ঠুর বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে না। আমাদের প্রাণবন্ত এমপি আনারকে হত্যা করে তার লাশটাকে আলাদা করে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা মাফিক গুম করা হয়।
এই খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া একমাত্র নারী সিলিস্তা রহমানের ভূমিকা নিয়ে ডিবি প্রধান জানান, আমরা ভারতে তদন্ত করে দেশে ফিরে তারপরে সিলিস্তা রহমানের সঙ্গে কথা বলব। যে ফ্লাটে হত্যাকাণ্ড হয়েছিল সেখানে তিনি ছিলেন কিন্তু সেক্ষেত্রে তার কী ভূমিকা ছিল, সেটা তার সঙ্গে কথা বলেই জানা যাবে।
খুনের ঘটনায় কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল তা নিয়ে ডিবি হারুন অর রশিদ জানান এগুলো নিয়ে কাজ চলছে আমরা পরে জানাব।
প্রসঙ্গত, গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ১৩ মে রাতে খুন করা হয় আনোয়ারুলকে। এরপর থেকেই কলকাতা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে। এর মধ্যে ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও মৃতদেহ পাওয়া যায়নি।