ছবি: সংগৃহীত
‘আমাদের সোনার জামাই কীভাবে চলে গেলো। তার টাকা-পয়সা সবকিছু নিয়ে যেত, আমাদের জামাইকে ফিরিয়ে দিত। কেন ওইভাবে নিয়ে গেল। সে তো কারও ক্ষতি করেনি। তাকে কেন মেরে ফেরা হলো। আমরা এর বিচার চাই।’
বুধবার দুপুরে এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের বাসভবনের নিচে এভাবেই বিলাপ করছিলেন তার আত্মীয় কালীগঞ্জ পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর বিনা খাতুন।
পাশেই এমপি আনারের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সিঁড়িতে বসে বিলাপ করছিলেন এমপির এক সহযোগী রুবেল হোসেন।
এমপি আনারের খোঁজে দুই বিষয় মাথায় নিয়ে এগোচ্ছেন গোয়েন্দারা
তিনি বলেন, ভারতে যাওয়ার আগে তার সঙ্গে শেষ কথা হয়। তিনি বলেছিলেন গরিব মানুষের চেকগুলো তুলে রাখ। আমি ফিরে এসে চেকগুলো সব একসঙ্গে বিতরণ করব। সে চলে গেল, এখন এভাবে কে গরিব মানুষকে নিয়ে ভাববে। কে আর এভাবে কথা বলবে।
সহযোগীকে এমপির শেষকথা, ‘গরিব মানুষের চেকগুলো তুলে রাখ, ফিরে এসে বিতরণ করব’
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ উদ্ধার করেছে ভারতের পুলিশ। ভারত যাওয়ার ১০ দিন পর বুধবার সকালে কলকাতার নিউটাউন এলাকার হোটেল সঞ্জীবা গার্ডেন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
১২ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার চিকিৎসার জন্য দর্শনার গেদে বন্দর দিয়ে ভারতের কলকাতায় যান। আনার ভারতীয় সীমান্ত এলাকা ঝিনাইদহ-৪ আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য (এমপি) ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ভারতে মরদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়ার পর তার দলীয় কার্যালয়ে শত শত মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন।