জলবায়ু অভিযোজনে বছরে ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
জাতীয় পর্যায়ে জলবায়ু অভিযোজনের জন্য বছরে সাত থেকে আট বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে ৪৮০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে প্রায় ৮ শতাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। বর্তমানে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৩০০ নতুন প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। এ অর্থ আমাদের জন্য পর্যাপ্ত নয়।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত ‘অ্যাপ্লিকেশন অব কার্বন ফাইন্যান্সিং: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড পলিসি অপশনস ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কার্যকর নীতি ও বিনিয়োগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কার্বন ক্রেডিট বাজারে বাংলাদেশের একটি উলেখযোগ্য ভূমিকায় আবির্ভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের সামগ্রিক কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানোর লক্ষ্য নিয়ে, সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
সেমিনারে ‘কার্বন অর্থায়নের পথ: বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্যতা’ মূল গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইআইএসএস এর গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির। প্রবন্ধে তিনি বলেন, ২০২২ সালে বিশ্বের ৪.৫ ট্রিলিয়নের কার্বন বাজার। ২০৫০ সালে এই বাজার প্রায় ৯ ট্রিলিয়নে পৌঁছবে। বিশ্বের এই বড় বাজার ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। বাজার ধরতে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে এবং কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে কার্বন ক্রেডিট লেনদেনের জন্য পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের পর প্যানেল আলোচনা হয়। এতে অংশ নেন, বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ইউন জু অ্যালিসন ই, ইউএনডিপি-এর প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট আরিফ এম ফয়সাল, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (আইডিসিওএল) এর নির্বাহী পরিচালক এবং সিইও আলমগীর মোরশেদ; শাশা ডেনিমস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস মাহমুদ এবং অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. নজরুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, কার্বন মার্কেট থেকে প্রতিবছর বিলিয়ন ডলার আয়ের সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। এজন্য দ্রুত কার্বন মার্কেট চালুর প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। এতে একদিকে কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ হবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ বড় অঙ্কের আয়ের সুযোগ পাবে।
প্যানেল আলোচনার পর রাষ্ট্রদূত এএফএম গওসোল আযম সরকারের (চেয়ারম্যান, বিআইএসএস) সঞ্চালনায় প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।