গ্রাহকের অজান্তে মোবাইলের টাকা চুরি
আইটি অডিট টিম গঠনের নির্দেশ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০১:২০ এএম
গ্রাহকের অজান্তে মোবাইলের টাকা কেটে নেওয়ার ঘটনা ইদানীং অনেক বেড়ে গেছে। দেখা গেল গ্রাহক এক মাসের জন্য ২৫ জিবি নেট কিনলেন। কিন্তু ১২-১৩ দিন যেতে না যেতেই তার জিবি শেষ হয়ে যায়। এ জন্য গ্রাহক কাকে দোষ দেবেন, ভেবে পান না। তবে যিনি যে কোম্পানির ডাটা ব্যবহার করেন, সেই কোম্পানির ওপরই চাপে দায়। এ ছাড়া ইন্টারনেট অপচয়ের ঘটনা তো অহরহই ঘটছে। টক টাইমের টাকাও মাঝে মাঝে হাওয়া হয়ে যায়। গ্রাহকের এসব অভিযোগ রোধকল্পে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার বিটিআরসিকে একটি এক্সটার্নাল আইটি অডিট টিম গঠনের নির্দেশ দেন তিনি। আগারগাঁওয়ে বিটিআরসির প্রধান সম্মেলনকক্ষে টেলিযোগাযোগ সেবা সম্পর্কিত বিটিআরসির গণশুনানিতে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেন। বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের মহাপরিচালক এবং কমিশনাররাও উপস্থিত ছিলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ইন্টারনেটের প্যাকেজ, গ্রাহকের অর্থ সাশ্রয় এবং প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর প্রতারণার অনেক প্রশ্ন ও অভিযোগ এসেছে। পর্যায়ক্রমে এগুলোর সমাধান করা হবে।
সাইবার সুরক্ষা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতে এখন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হচ্ছে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমাদের বিদ্যুৎ-জ্বালানি, ব্যাংকিং এবং টেলিকম সেক্টর সবচেয়ে ক্রিটিক্যাল। ৩৪টি অবকাঠামোকে ক্রিটিক্যাল ইনফ্রাকটাকচার হিসাবে ঘোষণা করেছি। গ্রাহকের টাকা, ব্যালান্স যাতে কোনো মোবাইল অপারেটর বা প্রাইভেট কোম্পানি কেটে না নিতে পারে অথবা তার অব্যবহৃত ইন্টারনেট তার অজান্তে অপচয় না হয়ে যায়, এ বিষয়গুলোর জন্য বিটিআরসিকে দুটি নির্দেশনা দিতে চাই।
আমরা এখন রেগুলারলি ফাইন্যান্সিয়াল অডিট করছি। এর ফলে মোবাইল অপারেটররা বকেয়া টাকাগুলো দিতে বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু এর পাশাপাশি একটা খুব শক্ত এক্সটার্নাল আইটি অডিট টিম আমি চাই। যেখানে আমাদের ইনহাউজ ইন্টারনাল ক্যাপাসিটি ডেভেলপ করতে হবে। থার্ড পার্টিকেও ইনভলব করতে হবে। পাশাপাশি কোনো সাইবার ক্রিমিনাল কিংবা কোনো হ্যাকার যাতে কোনো অবৈধ ইকুপমেন্ট দিয়ে আমাদের নেটওয়ার্ককে ক্ষতি করতে না পারে বা আমাদের নাগরিকদের তথ্য বা দেশের তথ্য-উপাত্ত চুরি করতে না পারে সেজন্যও একটা এক্সটার্নাল আইটি অডিট নিয়মিত হওয়া দরকার।’