পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অচলাবস্থা কাটছেই না, চতুর্থ দিনেও কর্মবিরতিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৭:১০ পিএম
সারা দেশে প্রান্তিক পর্যায়ে বিদ্যুৎসেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অচলাবস্থা কাটছেই না। বুধবার চতুর্থ দিনেও কর্মবিরতি পালন করছেন সারা দেশের ৮০টি সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারা দেশে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। তবে রোববার থেকে আন্দোলনে গেলেও জরুরিভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রেখেছেন তারা। বিদ্যুৎ সরবরাহ ছাড়া অন্যান্য দাপ্তরিক কাজ ও সব ধরনের গ্রাহকসেবা ও অভিযোগ নিষ্পত্তি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে সারা দেশেই ভোগান্তিতে পড়েছেন পল্লী বিদ্যুতের অসংখ্য গ্রাহক।
অপরদিকে সমস্যা সমাধানে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের কোনো ফলপ্রসূ উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। উলটো গতকাল মঙ্গলবার আরও কয়েকজন কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় আরও ক্ষুব্ধ হয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
জানা গেছে, আন্দোলন চলাকালে সমিতির এজিএম (আইটি) সাকিল আহম্মেদ, এজিএম (অর্থ) সুখদেবকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়, দুজন এজিএমকে (ওএন্ডএম) স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়, দুজন ডিজিএম, চারজন এজিএম এবং একজন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে (বাপবিবো) সংযুক্ত করা হয়। এর প্রতিবাদেও কর্মবিরতিতে অনড় কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন: সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
আন্দোলনকারীরা জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দৈতনীতির কারণে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবি, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। বিআরইবির অদক্ষতা ও নিম্নমানের সামগ্রীর কারণে গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
বিদ্যমান বৈষম্যগুলো দূর করে বাপবিবো এবং পবিস একই সার্ভিস কোড পরিচালনা করা, ৫% প্রণোদনা জুলাই-২৩ থেকে কার্যকর, ২০১৫ সালের পে-জুলাই-১৫ থেকে সমধাপে কার্যকর, ৪০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল ভাতা, দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি, নির্ধারিত কর্মঘণ্টা, অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইম/ডিস্টারবেন্স অ্যালাউন্স, চিকিৎসা ভাতা, অডিটের নামে হয়রানি না করাসহ সরকার প্রদত্ত সব সুযোগ-সুবিধা বিআরইবির ন্যায় সমিতির বাস্তবায়ন চান তারা।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্তীর বক্তব্য জানতে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।