ফাইল ছবি
জরিমানার সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত করার বিধান রেখে ‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল-২০২৪' জাতীয় সংসদে পাশ হয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বিলটি পাশের প্রস্তাব সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাশ হয়।
এর আগে বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব নিষ্পত্তি করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চেৌধুরী। বিলের ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ-সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং স্বতন্ত্র সংসদ-সদস্য পংকজ দেবনাথ। তাদের প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। এরপর সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে কণ্ঠভোটে বিলটি পাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: সংসদে ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তুললেন মুজিবুল হক
পাশ হওয়া বিলে বলা হয়েছে, একজন চেয়ারম্যান এবং উভয়পক্ষ মনোনীত দুজন করে মোট ৫ জন সদস্য নিয়ে গ্রাম আদালত গঠন করা হবে। প্রত্যেক পক্ষের মনোনীত দুজন সদস্যের মধ্যে একজন সদস্যকে সংশি্লষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হতে হবে। ফেৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার সঙ্গে কোনো নারীর স্বার্থ জড়িত থাকলে সংশি্লষ্ট পক্ষ, সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে একজন নারীকে সদস্য হিসাবে মনোনয়ন দেবে। চারজন সদস্যের উপস্থিতিতে গ্রাম আদালতের সদ্ধিান্ত দুই-দুই ভোটে অমীমাংসিত হলে চেয়ারম্যান নির্ণায়ক ভোট দিয়ে সদ্ধিান্ত নেবেন।
বিলের তফশিলে সাত ধরনের দেওয়ানি মামলার কথা উলে্লখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো, কোনো চুক্তি রসিদ বা অন্য কোনো দলিলমূল্যে প্রাপ্য অর্থ আদায়; কোনো অস্থাবর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার বা তার মূল্য আদায়ের মামলা; স্থাবর সম্পত্তি বেদখল হওয়ার এক বছরের মধ্যে তার দখল পুনরুদ্ধারের মামলা; কোনো অস্থাবর সম্পত্তির জবরদখল বা ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা; গবাদি পশু অনধিকার প্রবেশের কারণে ক্ষতিপূরণের মামলা; কৃষিশ্রমিকদের পরিশোধ্য মজুরি ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা এবং স্বামীর বিরুদ্ধে কোনো স্ত্রীর বকেয়া ভরণপোষণ আদায়ের মামলা।