সংসদে ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তুললেন মুজিবুল হক

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ১০:৪০ পিএম

সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। ছবি: সংগৃহীত
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে (ব্যারিস্টার সুমন নামে পরিচিত) ইঙ্গিত করে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আমাদের একজন সংসদ সদস্য। নামটা বলতে চাই না। তিনি নতুন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ফেসবুকে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে আমরা সবাই ভুক্তভোগী।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এমপি হিসেবে পাওয়া সরকারি বরাদ্দ কেন ফেসবুকে শেয়ার করেন, জানালেন ব্যারিস্টার সুমন
মুজিবুল হক চুন্নু এ সময় স্পিকারের উদ্দেশে বলেন, আপনি এই সংসদের অভিভাবক। আমাদের কোনো সদস্য যদি এমন কোনো কথা বলেন, যে কথায় প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারসহ ৩৪৯ জন এমপি (সায়েদুল হক সুমন ছাড়া) সম্পর্কে ভুল বার্তা যায়। তার সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করার জন্য যদি এ ধরনের কথায় ভুল বার্তা যায়, বিষয়টা আপনি দেখতে পারেন। আমরা এখানে অনেক কথা বলব, বিতর্ক করব। এমন কথা বলার অধিকার নেই যাতে ৩৪৯ এমপির ইজ্জত যাবে। তাদের সম্পর্কে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। তাই অভিভাবক হিসেবে ওই সংসদ সদস্যকে ডেকে তাকে কী করবেন, ব্যবস্থা নেবেন, ভেবে দেখবেন।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ওই সংসদ সদস্য বলেছেন, সংসদ সদস্যরা কত টাকা বেতন পান? তারা তো বলেন না, গোপন করেন। এক লাখ ৭২ হাজার টাকা বেতন (মাসিক) পেয়েছেন। আমরা কত টাকা বেতন পাই তা লুকানোর কিছু নেই, ওয়েবসাইটে গেলে পাওয়া যাবে।
ওই সংসদ সদস্য আরও বলেছেন, তিন মাসের মধ্যে ২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। সেটা কীভাবে পেলেন? তিন কোটি টাকা গমের জন্য, আর বাকি ২৫ কোটি টাকা পেয়েছেন রাস্তার জন্য।
এ সময় তিনি স্পিকারের উদ্দেশে বলেন, এই ২৮ কোটি টাকা কি আমি পেয়েছি, আপনি (স্পিকার) পেয়েছেন? প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন? ইতোমধ্যে ফেসবুক দেখে আমাকে অনেকেই বলছেন যে, ২৮ কোটি টাকা পেয়েছেন, এই টাকা কই? তিনি বলেছেন, ২৫ কোটি টাকা পেয়েছেন, কিন্তু আমরা তো পাইনি।
স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে পাঁচ বছরে ২০ কোটি টাকা সংসদ সদস্যদের বরাদ্দ দেওয়ার কথা উলে্লখ করে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এবার বলেছেন পাঁচ বছরের জন্য ২৫ কোটি টাকার প্রকল্পের নাম দেওয়ার জন্য। আগামী ৫ বছরের জন্য কটা প্রকল্প করব, তার নাম দিয়েছি আমরা। টাকার সঙ্গে তো আমার কোনো সম্পর্ক নেই। স্থানীয় সরকার বিভাগ জরিপ করে টেন্ডার করে, তারপর বাস্তবায়ন করে। কিন্তু ওই সংসদ সদস্য বলছেন, আমরা ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেছেন, এমপি হলে যদি এত লাভ হয়, তাহলে আরও আগে এমপি হতাম।