ফিাইল ছবি
তীব্র তাপদাহে ওরস্যালাইনের চাহিদা বেড়ে গেছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির অসাধুচক্র কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে কারখানা স্থাপন করে নকল ওরস্যালাইন উৎপাদন করে আসছিল। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর কাকরাইল এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল ওরস্যালাইন ও তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ৩ প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন- সজিব মিয়া, হৃদয় ও সামসুল আলম।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।
হারুন অর রশীদ বলেন, দেখে বোঝার উপায় নেই সেগুলো নকল স্যালাইন। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে হুবহু এসএমসি স্যালাইনের মতো দেখতে নকল স্যালাইন তৈরি করে আসছে এই চক্রটি। এতোদিন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকলেও সম্প্রতি এই চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপরই বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ডিবিপ্রধান বলেন, এসব ওরস্যালাইন তৈরিতে ব্যবহার করা হতো চিনি ও লবণের মিশ্রণ। যা খেলে কিডনি ছাড়াও লিভারের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। চক্রটির ৩ সদস্যকে গ্রেফতারের পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে ২৮শ’ প্যাকেট নকল খাওয়ার স্যালাইন।
হারুন অর রশীদ বলেন, অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে বাজারে স্যালাইনের চাহিদা বাড়ায় সুযোগটি কাজে লাগায় তারা। এই চক্রের আরও একজন পলাতক রয়েছে। তবে তাকে ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানিয়েছেন ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ।
ডিবি প্রধান বলেন, এসএমসির ওরস্যালাইন-এন এর মতো এসএনসির ওরস্যালাইন-এন নামে নকল ওরস্যালাইন তৈরি করতো একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এসব ওরস্যালাইন বিক্রি করা হতো মিডফোর্টে। সেখান থেকে সরবরাহ করতো দেশের বিভিন্ন স্থানে।
গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের একটি দল গত ২ মে পৌনে ৮ টার দিকে ৮৯/১ কাকরাইল সুপার মার্কেট মুসলিম রেস্তোরাঁর সামনে পাকা রাস্তায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করে। তারা জানান, কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি কারখানায় ওই নকল স্যালাইন তৈরি করা হতো। পরে কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল ওরস্যালাইন ও কাঁচামাল জব্দ করা হয়।
গ্রেফতাররা জানান, এসএমসির ওরস্যালাইন-এন এর মতো এসএনসির ওরস্যালাইন-এন এবং টেস্টি স্যালাইন ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ভেজাল ওষুধ ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন ভুইয়ার কাছ থেকে কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতো।