মূর্তি ও মুদ্রা নিয়ে প্রতারণার জেরে অপহরণ, গ্রেফতার ৭
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৪, ১২:৫০ এএম
কষ্টিপাথরের মূর্তি ও ধাতব মুদ্রা পাচারের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে অপহরণের শিকার আনোয়ার হোসেন খানকে (৪৪) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তুষারধারা থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব।
এ সময় গ্রেফতার করা হয় চক্রের মূল হোতাসহ ৭ জনকে। তাদের কাছ থেকে ৮ রাউন্ড গুলিসহ একটি রিভলবার ও একটি শটগান জব্দ করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- হাজি ওয়াজী উল্লাহ্ খোকন (৬৫), আরিফ হোসেন (৫৫), সাইফ উদ্দিন আহমেদ মিলন (৬২), সিরাতুল মোস্তাকিম (৫৮), রুহুল আমিন (৬০), জাকির হোসেন (৩০) ও মো. স্বাধীন (৫২)।
রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফিরোজ কবীর এ তথ্য জানান।
র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, বুধবার রাত ৮টার দিকে তুষারধারার একটি চায়ের দোকানের সামনে থেকে খোকন হাজির নেতৃত্বে ৮-৯ জনের একটি চক্র আনোয়ারকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ায় খোকন হাজির রিয়েল এস্টেট অফিসের ভেতরে আটকে রেখে নির্যাতন চালায়। মোবাইল ফোনে তার পরিবারের কাছে ৯৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহৃতের ছোট ভাই ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করে ওই চক্রের দেওয়া ব্যাংক হিসাবে পাঠালেও নির্যাতন অব্যাহত রাখে এবং বাকি টাকা না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেয়।
অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফিরোজ কবির জানান, আসামি খোকন হাজি ২০১৫ সাল থেকে দেশের মূল্যবান কষ্টিপাথরের মূর্তি ও দুষ্প্রাপ্য পিতলের ধাতব মুদ্রা ভারতে পাচার করে আসছিলেন। তার মূল ক্রেতা ছিলেন ভারতীয় নাগরিক মিলন চক্রবর্তী। এসব সংগ্রহের কাজে নাঈম (৩৫), মোস্তফা হাওলাদার (৫০) ও রবি দেশব্যাপী কাজ করতেন। মোস্তফা নকল মূর্তি ও ধাতব মুদ্রা দিয়ে খোকন হাজির কাছ থেকে ৯৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে মোস্তফাকে খুঁজে না পেয়ে তার ভায়রা আনোয়ারকে অপহরণ করা হয়।