ঢাকার ফুটপাত দখল-বিক্রিতে জড়িতদের তালিকাসহ ব্যবস্থা জানাতে নির্দেশ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৩ পিএম
ঢাকার ফুটপাত দখল ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামের তালিকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দখলদারদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাও জানাতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র সচিব অথবা স্থানীয় সরকার সচিবকে নামের তালিকা হলফনামা আকারে আগামী ১৩ মে আদালতে দিতে বলা হয়েছে।
‘বিক্রি হচ্ছে ঢাকার ফুটপাত’ শিরোনামে ২০২২ সালের আগস্টে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। ঢাকার ফুটপাত দখল ও বিক্রি করে জনগণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০২২ সালের নভেম্বরে একটি রিট করে।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে ঢাকার ফুটপাত দখল ও বিক্রির জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
নির্দেশনা বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়টি গত ২২ এপ্রিল আদালতে তুলে ধরেন রিট আবেদনকারীপক্ষ। সেদিন শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ঢাকার ফুটপাত দখল ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তালিকা এবং ফুটপাত দখল বন্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে নেওয়া পদক্ষেপের অগ্রগতি জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে সোমবার প্রতিবেদন দিতে বলেন। সে অনুসারে এদিন বিষয়টি ওঠে। আদালতে আবেদনকারীপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র সচিবের পক্ষ থেকে সোমবার হলফনামা দেওয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
তিনি বলেন, গত বছরের ২১ মে ওই কমিটি গঠন করা হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নগর উন্নয়ন) ড. মলয় চৌধুরীকে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। মলয় চৌধুরীর সভাপতিত্বে গত বছরের ২৪ আগস্ট কমিটির সভা হয়।
সভার আলোচ্যসূচিতে ফুটপাতে দোকান বসানো, দখলের সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তি ও কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেন।