ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, এ বছর আমাদের হজের খরচ গত বছরের চেয়ে ১ লাখ ২ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের যে নির্দেশনা দিয়েছেন সেই নির্দেশনা যদি পুরোপুরি পালন করতে পারি তাহলে আমরা আশা করছি আগামী বছর এ খরচ আরও কমে আসবে। পাশাপাশি হজযাত্রীদের জন্য সুন্দর আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারব।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন ধর্মমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত ‘দেশ ও জাতির উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ফরিদুল হক খান বলেন, আগামী বছর যারা হজে যাবেন তারা যেন তাদের আবাসনস্থল থেকে যেকোনো সময় মক্কা ও মদিনায় ঘুরতে যেতে পারেন সেজন্য অতিরিক্ত বাসের ব্যবস্থা করা হবে। বাসগুলো ১০ মিনিট পরপরই যাতায়াত করবে। এভাবে অনেকগুলো পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, আমরা চাঁদ দেখার বিষয় সুনির্দিষ্ট নিয়ম নীতিমালা তৈরি করে ফেলেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা ৬৪ জেলায় জেলা প্রশাসকদের নেতৃত্বে চাঁদ দেখা কমিটি গঠন করেছি। চাঁদ দেখার আগে প্রত্যেক জেলা থেকে আমাদের জানানো হয় যে চাঁদ দেখা গেছে কী যায়নি।
তিনি বলেন, কোনো জেলা থেকে যদি কোনো জনপ্রতিনিধি জানায় যে চাঁদ দেখা গেছে তবে সেখানে তিনজন সাক্ষীর কথা বলা হয়। যদি চারজন মিলে বলে যে চাঁদ দেখা গিয়েছে তবে সে চাঁদ দেখার বিষয়টি আমরা বিবেচনায় নেই। পাশাপাশি আমাদের আবহাওয়া অধিদফতর আমাদের এ ব্যাপারে সহযোগিতা করে।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা ধর্মীয় মূল্যবোধ সৃষ্টির চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে দেশের প্রতিটি জেলার মসজিদ, মন্দির, প্যাগডাসহ সব জায়গায় শিক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- সংখ্যালঘু বলতে এ দেশে কিছু নেই। যদি কেউ বলে সেটার প্রতিবাদ করা উচিত। আমাদের পরিচয় হলো আমরা সবাই বাঙালি। সবার সমঅধিকার নিয়ে আমরা এ দেশে বসবাস করছি।
বঙ্গবন্ধু একাডেমির সহ-সভাপতি এমরান হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগ নেতা এমএ করিম, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. গণি মিয়া বাবুল, বঙ্গবন্ধু একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব হুমায়ূন মিজি প্রমুখ।