একজন জীবনে কত অক্সিজেন ও পানি ব্যবহার করে নিরূপণ করা হবে

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম

দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করা হবে। এর পাশাপাশি একজন মানুষ সারাজীবনে কত অক্সিজেন ব্যবহার করে, কত পানি ব্যবহার করে এবং এগুলোর আর্থিক মূল্য কত সেটিও নিরূপণ করা হবে। এ জন্য ন্যাশনাল রিসোর্স অ্যাকাউন্টস (এনআরএ) তৈরি করছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
জাতিসংঘের এনভায়রনমেন্টাল ইকোনমিক অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমের আওতায় এটি করা হবে। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী আয়োজিত সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবন অডিটরিয়ামে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার এবং এফএও এর রিপ্রেজেনটেটিভ জিয়াকুন সাই। বক্তব্য দেন বিবিএসের উপমহাপরিচালক পরিমল চন্দ্র বসু।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ দেশের মাটি, পানি, বাতাস, বন, প্রাণিসম্পদসহ সব ধরণের প্রাকৃতিক সম্পদের হিসাব করা হবে। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পরিবেশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় এই অ্যাকাউন্টস কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। যে কোনো নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে এই অ্যাকাউন্টস ব্যাপক কাজে আসবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, একটি ধারণা হলো যে, পরিবেশ ও উন্নয়ন পরস্পরবিরোধী। কিন্তু এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এ জন্যই টেকসই উন্নয়নের নীতিগ্রহণ করা হয়েছে। যাতে দুটোই করা সম্ভব। আগে গায়ের জোরে অনেকেই বন ও পরিবেশ ধ্বংস করত। কিন্তু এখন প্রভাব খাটিয়ে কিছু করা চলবে না। সবার আগে দেখতে হবে জাতীয় স্বার্থ। এ জন্যই অ্যাকাউন্টস দরকার।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার। এর আওতায় আরও ১১টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। তখন প্রাকৃতিক সম্পদের লাইভ তথ্য পাওয়া আরও সহজ হবে। এসডিজি বাস্তবায়ন এখনো অনেক দূরে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী যেভাবে এসডিজি বাস্তবায়ন হচ্ছে, এতে ২০৩০ সালে নয় ২০৬৮ সালেও এসডিজি পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।