Logo
Logo
×

জাতীয়

নাবিক পরিবারে স্বস্তি ফিরেছে

Icon

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম

নাবিক পরিবারে স্বস্তি ফিরেছে

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এর পর থেকে নাবিক পরিবারে শুরু হয় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। ঈদের রেশ না কাটতে এবং নতুন বছরের শুরুর দিনে জিম্মি ২৩ বাংলাদেশি নাবিকের মুক্তি পাওয়ার ঘটনায় নাবিক পরিবারগুলোতে ফিরে এসেছে স্বস্তি।

জিম্মি হওয়ার ৩১ দিন পর নাবিকরা মুক্তি পেলেন। এখন স্বজনরা নাবিকদের ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন।

জাহাজের চিফ অফিসার আতিকুল্লাহর স্বজন আজিজুল হক যুগান্তরকে বলেন, আমাদের স্বজনরা যে অক্ষত অবস্থায় ফিরতে পারছে এটাই আমাদের কাছে বড় সুসংবাদ। এটা ঈদের আনন্দের চেয়েও বেশি কিছু। নতুন বছরে এই সুসংবাদ পেয়ে আমরা আপ্লুত। এখন তাদের ঘরে ফেরার অপেক্ষায় আছি।

মুক্তিপণের বিনিময়ে ভারত মহাসাগর থেকে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহর জিম্মি ২৩ নাবিক মুক্ত হয়েছেন। মুক্তিপণ পাওয়ার পর শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নাবিকদের মুক্তি দেয় জলদস্যুরা। তবে মুক্তিপণের পরিমাণ জানায়নি জাহাজ কর্তৃপক্ষ।

জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাত রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নাবিকদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে কেএসআরএম এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং এর সিইও মেহেরুল করিমও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, এমভি জাহান মণি জিম্মি হওয়ার সময় আমাদের জ্ঞানের অভাব ছিল। তখন উদ্ধারে সময় বেশি লেগেছিল। এবার জাহাজ দখলে নেওয়ার পর কর্তৃপক্ষ জাহাজের লোকেশন ট্র্যাক করে। যোগাযোগ শুরুর পর প্রতিদিনই  নাবিকদের সঙ্গে তারা কথা বলেন। নাবিকরা কেমন আছেন, কত তাড়াতাড়ি দস্যুরা জাহাজ ছেড়ে যাবে ইত্যাদি কথা হতো। দুই দিন আগে প্রত্যেক নাবিকের ভিডিও নিয়েছি। তারা যে অক্ষত আছে তার প্রমাণস্বরূপ। মুক্তিপণের প্রতিটি কাজ আন্তর্জাতিক নিয়ম ও বিধিবিধান মেনে এবং আইনগতভাবে করা হয়েছে। কত ডলার মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে সে বিষয়টি আমরা সংগত কারণে বলা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। ইউএসএ, ইউকে, সোমালিয়া, কেনিয়ার নিয়ম মানতে হয়েছে।

আরও পড়ুন:

৩১ দিন পর অক্ষত অবস্থায় মুক্ত জাহাজসহ জিম্মি থাকা ২৩ নাবিক

বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়

মেহেরুল বলেন, শনিবার দিনগত রাত ৩টায় কথা হয় ক্যাপ্টেনের সঙ্গে। জলদস্যুরা ৬৫ জন ছিল। বোটে করে তারা চলে যায়। এর পর এমভি আবদুল্লাহ নাবিকদের নিয়ে দুবাইর পথে রওনা দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শনিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে মুক্তি পাওয়ার পর জাহাজটি সোমালিয়ার গদবজিরান উপকূল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (দুবাই) পথে রওয়ানা দেয়। সেখান পৌঁছতে ১৯-২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। সেখান থেকে নাবিকদের ইচ্ছা অনুযায়ী জাহাজে অথবা বিমানে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে।

গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। তাদেরকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয় সরকার ও মালিকপক্ষ থেকে। কিন্তু বারবার সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। অবশেষে শনিবার মুক্তিপণের মাধ্যমে জাহাজসহ ২৩ নাবিককে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম