দেশে প্রথম বিদ্যুতচালিত গাড়ি আনছে ‘পালকি মটরস’
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৪ পিএম
বিশ্বায়ন আর শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্বের অনেক দেশেই বৈদ্যুতিক গাড়ি চলছে। এবার বাংলাদেশেও প্রথমবারের মতো বিদ্যুতচালিত গাড়ি নিয়ে আসছে পালকি মটরস লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি।
কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোস্তফা আল মোমিন। তিনি জানান, এ গাড়িতে থাকছে চারটি দরজা ও চারটি চাকা। এছাড়া থাকছে ৬০ ভোল্টের ১০০ এইচ লিড ব্যাটারি। যাতে একবার চার্জ দিলে চলবে ১৫০ কিলোমিটার। আর ব্যাটারির অ্যারে চার্জ হতে সময় নিবে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা।
পালকির ওয়েবসাইটের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, এর রয়েছে চারটি মডেল। এগুলো হলো সিটিবয় বেসিক, সিটিবয় এলএফপি, সিটিবয় এলএফপি প্লাস ও কেরিবয় বেসিক। রাজধানীর উত্তর বাড্ডার সাঁতারকুলে তৈরি হচ্ছে গাড়িগুলো।
গাড়িগুলোর দাম শুরু পাঁচ লাখ টাকা থেকে। সর্বোচ্চ নয় লাখ টাকা। ব্যাটারির ক্ষমতা ও কত কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে তার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়েছে দাম।
এরইমধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) অনুমোদন পেয়েছে গাড়িটি।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম টিআরটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পালকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোস্তফা আল মোমিন বলেন, আমাদের প্রাথমিক টার্গেট হলো আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এই গাড়ি রপ্তানি করা। সেইসঙ্গে বাংলাদেশেও এ গাড়ি বিক্রি করা। এজন্য উৎপাদন ব্যাপকহারে বাড়াতে হবে, ছোট আকারের অনেকগুলো ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন শুরু করতে হবে।
সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনের জোয়ার উঠেছে। টেসলা, রিভিয়ান, এনআইও’র মতো প্রতিষ্ঠানগুলো গত এক দশকে অটোমোবাইল শিল্পে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। টাটা, জাগুয়ারসহ বিশ্বের বড় বড় গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানিও বিদ্যুতচালিত গাড়ি বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে। এমন সময়ই পালকির যাত্রা শুরু।
টিআরটির প্রতিবেদন বলছে, পালকি মোটরসের সিইও মোস্তফা আল মোমিন ২০০৯ সালে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির কথা চিন্তা করেন। তখন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। এরপর বৈদ্যুতিক প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতকোত্তর করতে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। ২০২২ সালে পুরোপুরিভাবে বৈদ্যুতিক গাড়ির কাজে মনোনিবেশ করেন মোমিন। ওই বছরই উদ্ভাবন হয় কোম্পানির।
পালকির ওয়েবসাইট বলছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী যখন পালন করা হয়েছে ওই সময় যাত্রা শুরু হয়েছে পালকির।