লঞ্চের কেবিনের চাহিদা বেশি, ডেকের যাত্রীও বাড়ছে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৫ পিএম
নৌপথে ঈদযাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে লঞ্চের কেবিনের চাহিদা বেশি। ডেকে তুলনামূলক যাত্রী কম। তবে আগের চেয়ে ডেকেও যাত্রী বেড়েছে। যাত্রী বাড়তে থাকায় লঞ্চের সংখ্যাও বাড়িয়েছেন লঞ্চ মালিকরা।
তারা জানান, বৃহস্পতিবার অফিস ছুটির পর যাত্রী বেড়েছে। শুক্র থেকে রোববার পর্যন্ত তিন দিন সরকারি ছুটির সঙ্গে অনেকে বাড়তি ছুটি নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছেন। এ কারণে যাত্রী আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। তবে গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত সড়কে যানজটে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলেও জানান তারা।
এ বিষয়ে লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহণ) সংস্থার সদরঘাটের সমন্বয়কারী মো. মামুন-অর রশীদ যুগান্তরকে বলেন, আগের চেয়ে লঞ্চে যাত্রী বেড়েছে। বেশিরভাগ যাত্রীর চাহিদা কেবিন। অনেক লঞ্চের কেবিন বুকিং হয়ে গেছে কিন্তু সেই তুলনায় ডেকে যাত্রী নেই।
তিনি বলেন, ঈদ মৌসুমে শুধু কেবিনের যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চালিয়ে পোষানো যায় না। তবুও কেবিনের চাহিদা বেশি থাকায় লঞ্চের সংখ্যাও বেড়েছে। আগে ঢাকা থেকে বরিশাল সরাসরি রুটে ২-৩টি লঞ্চ যেত। এখন ৪-৫টি লঞ্চ যাচ্ছে। যাত্রী যত বাড়বে, লঞ্চের সংখ্যাও তত বাড়ানো হবে।
প্রায় একই ধরনের তথ্য জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষের যুগ্ম-পরিচালক মো. আলমগীর কবীর। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু দিয়ে সড়ক পথে কম সময়ে মানুষ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে যাতায়াত করতে পারেন। এ কারণে মানুষের নৌপথে আগ্রহ কম। তবে ঈদ উপলক্ষ্যে যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। অনেকে পরিবার নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। তারা লঞ্চে যাওয়া আরামদায়ক মনে করেন। পাশাপাশি নদীও উপভোগ করেন। এ কারণে কেবিনের চাহিদা বেশি।
তিনি জানান, ঈদ সামনে রেখে নৌপথের যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে সদরঘাটে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এমনকি সদরঘাটের আশপাশ এলাকায় যাতায়াত ব্যবস্থা তদারকি করা হচ্ছে।