হাট থেকে গরু কিনে বাজারে আনা পর্যন্ত চাঁদাবাজিসহ নানা হয়রানির মুখোমুখি হতে হয় মাংস ব্যবসায়ীদের। তবে এসব হয়রানি বন্ধ করতে পারলে ৫০০ টাকার নিচে এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি করা সম্ভব বলে জানালেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
সোমবার মিরপুরের উজ্জ্বল গোশত বিতান পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
অতি মুনাফা না করে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে দেশের মাংস ব্যবসায়ীদের মতো অন্যদেরও এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান সফিকুজ্জামান।
ভোক্তার ডিজি বলেন, চামড়ার দাম যৌক্তিক মূল্যে বিক্রির পাশাপাশি গরু আনার পথে হয়রানি কমাতে পারলে ৫০০ টাকার নিচে এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি সম্ভব। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় কম দামে মাংস বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন অনেকে। অতি মুনাফা না করে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে দেশের অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও এমন উদ্যোগ নিতে পারেন।
এদিকে শাহজাহানপুরের আলোচিত ব্যবসায়ী খলিলের দেখানো পথে হেঁটে ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করছেন মিরপুর-১১ নম্বরের উজ্জ্বল গোশত বিতানের মাংস ব্যবসায়ী উজ্জ্বল। সকাল থেকেই তার দোকানে মাংস নিতে ভিড় জমিয়েছেন অনেকে।
ক্রেতারা জানান, অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে করলে অন্যান্য বাজারেও স্বস্তি মিলবে।
এ সময় ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক আরও জানান, রোজায় কোনো ব্যবসায়ীর মাধ্যমে যাতে ক্রেতারা প্রতারিত না হন, সেজন্য সারা দেশে প্রতিদিন ৫ শতাধিক টিম কাজ করছে। অভিযানের ফলে বাজারে শসা, লেবু ও বেগুনের দাম কমছে।