ভাতার দাবিতে সময় বেঁধে দিল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকরা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
প্রতি ছয় মাস পরপর ভাতা দেওয়ার কথা থাকলেও ৯ মাস ধরে কোনো ধরনের ভাতা পাচ্ছেন না পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। এই অবস্থায় বকেয়া ভাতার দাবিতে মহাখালীর ‘বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জন্সের’ (বিসিপিএস) সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
চিকিৎসকদের অভিযোগ, তিন মাস আগে ৬ মাসের ভাতা একসঙ্গে দেওয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। দুইদিনের মধ্যে ভাতা পরিশোধ না হলে বৃহৎ আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
আন্দোলনরত চিকিৎসকরা জানান, প্রতিমাসে ২৫ হাজার টাকা করে ছয় মাসে দেড় লাখ টাকা ভাতা দেওয়ার কথা। এর আগে ২০ হাজার করে যখন ভাতা ছিল তখন ছয় মাস পরপর এক লাখ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হতো। এ হিসাবে জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের টাকা জানুয়ারির শুরুতে দেওয়ার কথা। কিন্তু চলতি মার্চের অর্ধেক সময় পেরিয়ে গেলেও নানাভাবে টালবাহানা করা হচ্ছে। নিয়মিত ভাতা না পেয়ে জীবনযাপন কষ্টকর হচ্ছে।
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাবির হোসাইন বলেন, এফসিপিএস করতে আমাদের প্রতিদিন অনেক রোগী দেখতে হয়। চিকিৎসক হিসাবে এটা দায়িত্ব। কিন্তু ভাতাটা আমাদের ঠিকঠাক দিতে হবে। ছয় মাস পরপর দেওয়ার কথা। কিন্তু এবার সেটা ৯ মাস হয়ে গেছে। এটা দিয়েই আমাদের চলতে হয়, পরিবারকে চালাতে হয়। জানুয়ারির শুরুতে ভাতা দেওয়ার কথা থাকলেও এখন বলা হচ্ছে আরও এক মাস সময় লাগবে। দুদিনের মধ্যে না পেলে আমরা চ‚ড়ান্ত আন্দোলনে যাব। তিনি বলেন, মানুষের সেবা দিই আমরা; কিন্তু আমাদের ভাতা পেতে আন্দোলন করতে হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক।
শনিবার বিসিপিএস ভবনের ৯ তলায় বিসিপিএসের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ সহ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রেইনি চিকিৎসকরা। বিসিপিএস ‘টাকা নাই ডিউটি নাই’ স্লোগান তুলে ভাতা দিতে না পারলে ব্যর্থতার দায় নিয়ে কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবি জানান তারা।
এসব বিষয়ে বিসিপিএস সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, ভাতা প্রদানের বিষয়টির ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়েছেন। ভাতার টাকা তিন ভাগে আসে। দুইভাগ চলে এসেছে, বাকিটা পরে আসবে। এজন্য এক মাস সময় চান তিনি। একই সঙ্গে ভাতার পরিমাণ বাড়ায় তা সমন্বয় করতে সময় লাগছে বলেও তিনি জানান।