Logo
Logo
×

জাতীয়

ডিইউজে নির্বাচনের ভোট পুনরায় গণনার দাবি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৮ পিএম

ডিইউজে নির্বাচনের ভোট পুনরায় গণনার দাবি

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিউনের (ডিইউজে) সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে নির্বাচনে পরাজিত সংক্ষুব্দ প্রার্থীরা। পাশাপাশি ইভিএমের মাধ্যমে গণনা করা এ নির্বাচনের ভোট বাতিল করে পুনরায় হাতে গণনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব অঙ্গনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে সংগঠনটির সাবেক নেতা ও প্রার্থীরা এ দাবি জানান। সমাবেশের আয়োজন করে জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট নামে একটি সংগঠন।

সমাবেশের সঞ্চালনা করেন স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরামের সমন্বয়ক ও ডিইউজের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী খাইরুল আলম বলেন, গত ১১ মার্চ একটি প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। আমরা এটির ধিক্কার ও নিন্দা জানাই। আমরা দেখেছি কিভাবে এই নির্বাচনের ফলাফলে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। এই মাফিয়া চক্রের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে।

স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরামের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর খান বাবু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী ডিউজের চেতনায় রাজাকারের বংশধরেরা আবার আঘাত হানছে। নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এটি আমরা হতে দেবো না। ডিইউজের নির্বাচনে যে কারচুপি হয়েছে সেটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে উন্মোচন করার জন্য সরকার প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

ডিইউজের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে পরাজিত সহ-সভাপতি প্রার্থী রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ডিইউজের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ উঠছে। এটি একটি সাংবাদিক ইউনিয়ন। অথচ এখানেই অনিয়ম হচ্ছে। নির্বাচনের আগে ইউনিয়ন থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা দেওয়ার কথা। কিন্তু সেটি দিতে পারেনি। এজন্য একজন নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ পর্যন্ত করেছে। তারপরও কোনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেনি। ডিইউজের মান মর্যাদা রক্ষা করতে হলে আন্দোলনের বিকল্প নেই।

জাস্টিস ফর জার্নালিস্টসের আহ্বায়ক অ্যাড. মো. কামরুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি ভয়াবহ। পিঠের চামড়া থাকবে না। আপনারা যদি মনে করেন গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে কমিটি গঠন করবেন, তাহলে বোকার স্বর্গে আছেন। আমরা বলতে চাই, সংবিধান অনুযায়ী কমিটি গঠন করতে হবে। নইলে আন্দোলন আরো জোরদার করা হবে।

ডিইউজের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে পরাজিত সভাপতি প্রার্থী আব্দুল মজিদ বলেন, এই নির্বাচনে আমি সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলাম। নির্বাচনের পর ফলাফলে দেখলাম, পরিচিত মুখ, ভালো মানুষগুলো অল্প ভোট পেয়েছে। তাদেরকে অন্যায়ভাবে কম ভোট দেখানো হয়েছে। আমাদের সাবেক নেতাদের একটি দুষ্টচক্র এই অন্যায় করেছে। এই নির্বাচনে ভুয়া ভোট পড়েছে। একজনের ভোট আরেকজন দিয়েছে। ভোটে জালিয়াতি হয়েছে, কারচুপি হয়েছে। সংগঠনের গঠনতন্ত্র মেনে এই নির্বাচন হয়নি। এই নির্বাচন অবৈধ। ষড়যন্ত্র যারা করেছেন, তারা নিজেরাই নিজেদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করেছেন। এই ষড়যন্ত্র একদিন তাদেরই জড়িয়ে ধরবে। ভোট পুনঃ গণনার আগে কোনোভাবেই দায়িত্ব হস্তান্তর করা যাবে না। পাশাপাশি সভাপতি পদে পুনরায় নির্বাচন করতে হবে। আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা আগামীকাল (রোববার) ডিইউজের দরজার সামনে অবস্থান নেব।

ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে এই নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে অনেক অনিশ্চয়তাও তৈরি হয়েছিল। অনেক শান্তিপূর্ণভাবে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের আগে যেমন কিছু ব্যত্যয় দেখা গেছে, আবার নির্বাচনের পরও কিছু ব্যত্যয় দেখা গেছে। যা আমাদের মধ্যে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। ভোট গণনার আগেই আমাদের কাছে ফলাফল চলে এসেছে। অতীতেও নির্বাচনে কারচুপির ঘটনা ঘটেছে৷ তাই পুনরায় ভোট গণনার যে দাবি উঠেছে সেটি মেনে নেওয়া উচিত। আমার কাছে মনে হয়েছে, এই নির্বাচনে গঠনতন্ত্র পদে পদে লঙ্ঘিত হয়েছে।

এছাড়া বক্তৃতা করেন, ডিইউজের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে পরাজিত সহ-সভাপতি প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক পরিষদের সদস্য সচিব আবু সাঈফ, ডিইউজের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে পরাজিত সদস্য পদপ্রার্থী রাকিবুল রেজা, ডিইউজের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এস এম সাঈফ আলী, ডিইউজের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে পরাজিত সদস্য পদপ্রার্থী মোশারফ করিম, ডিইউজের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে পরাজিত কোষাধ্যক্ষ প্রার্থী রেজাউল করিম, ডিইউজের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, ডিইউজের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে পরাজিত আইন বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী মাসুম আহমেদ প্রমুখ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম