Logo
Logo
×

জাতীয়

দেশের যেসব অঞ্চলের মানুষ রোজা শুরু করেছেন

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৩ এএম

দেশের যেসব অঞ্চলের মানুষ রোজা শুরু করেছেন

দেশের যেসব অঞ্চলের মানুষ রোজা শুরু করেছেন

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘ দিন থেকে রোজা পালন করে আসছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে গতকাল রোববার দিবাগত রাতে সেহেরি খেয়ে আজ রোজা রেখেছেন তারা। চলুন দেখে নেওয়া যাক দেশের কোন কোন এলাকার লোক আজ থেকে রোজা রেখেছেন।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে সোমবার আজ থেকে রোজা শুরু হয়েছে। রোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে চাঁদের খোঁজ শুরু হয় এসব এলাকায়। পরে রাতে সৌদি আরবে চাঁদ দেখার খবরটি নিশ্চিত হওয়া যায়।

সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় রাতে তারাবির নামাজ ও সেহরি খাওয়ার মধ্য দিয়ে সৌদি আরবসহ আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামের বাসিন্দারা রমজানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন।

হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা আজ রোজা পালন করছেন।

ঐতিহাসিক সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা পীর ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী জানান, আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯৩২ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরিফের পীর সাহেব সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন।

তিনি আরও জানান, সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পেয়েছি। আমরা নিজেরাও খোঁজ-খবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি। ইনশাল্লাহ সোমবার থেকে আমাদের গ্রামে রোজা শুরু হবে।

এদিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার প্রায় ১৩ গ্রামে আজ সোমবার থেকে রোজা শুরু হয়েছে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উদযাপন করেন তারা।

অপরদিকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ সোমবার থেকে রোজা শুরু করেছেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ।

এর আগে রোববার রাতে তারাবিহ আদায় ও সেহরি খেয়েছেন সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, বোয়ালখালী, আনোয়ারা, পটিয়া উপজেলার নির্দিষ্ট আকিদার মুসলমানেরা।

দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা।

মির্জারখীল দরবার সূত্রে জানা যায়, মির্জারখীল ছাড়াও উপজেলার সোনাকানিয়া, ছোটহাতিয়া, আছারতলি, সাইরতলি, গারাঙ্গিয়া, এওচিয়া, খাগরিয়া, ছদাহা, গাটিয়াডাঙ্গা এবং লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা, চরম্বা ও চুনতি, বাঁশখালী উপজেলার জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডোংরা, তৈলারদ্বীপ ও কালিপুর পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও, বাহুলী, ভেল্লাপাড়াসহ ৫০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ রোববার রাতে প্রথম রোজার সেহরি খেয়ে রোজা রেখেছেন।

এছাড়া চট্টগ্রামের হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজার সদর, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়ার বেশ কয়েকটি গ্রামে মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারী রয়েছেন; তারাও রোববার রাতে সেহেরি খেয়ে রোজা রেখেছেন।

এছাড়া নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার চারটি গ্রামের কিছু বাড়িতে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা হচ্ছে। প্রায় ১০০ বছর ধরে বাংলাদেশের স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে একদিন আগেই তারাবির নামাজ পড়ে রোজা শুরু করেন তারা। এ বছরও এসব গ্রামের মানুষ একদিন আগেই পবিত্র রোজা পালন করছেন।

রোববার রাতে জেলার দুই উপজেলার চার গ্রামের ৯ মসজিদে একযোগে পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে তারাবির জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্রামগুলো হলো- নোয়াখালী পৌরসভা লক্ষ্মীনারায়ণপুর ও হরিণারায়নপুর গ্রাম; বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রাম।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম