সুশান্ত পালের দুর্নীতি অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৪ এএম
মোটিভেশনাল স্পিকার ও কক্সবাজারের কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট অফিসের সাবেক ডেপুটি কমিশনার সুশান্ত পালের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের একজন উপসহকারী পরিচালককে সদস্য করে অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়।
সুশান্ত পাল ও তার ছয় সহযোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা কক্সবাজারের নামিদামি হোটেল-রেস্টুরেন্টের রাজস্ব রেয়াতের মাধ্যমে শতকোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। একই সঙ্গে সরকারকে বছরে কয়েকশ কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত করেছেন। এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২০ সালে একটি অভিযান পরিচালনা করে দুদক। ওই অভিযানে হোটেল মালিকদের রাজস্ব ফাঁকির প্রমাণ পায় সংস্থাটি। এর ভিত্তিতে দুদকের গোয়েন্দা বিভাগ অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে।
সুশান্ত পালের ছয় সহযোগী হলেন– রাজস্ব কর্মকর্তা সব্যসাচী শিকদার, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, আনিসুল করিম, সৈয়দ আবু রাসেল, মো. আলাউদ্দিন ও তৌফিক আহমেদ।
দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ১৮ ফেব্রুয়ারি সুশান্ত পালকে অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সংস্থাটি। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে দুদক কর্মকর্তাদের অনেক প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। তবে অভিযোগ ও জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি সুশান্ত পাল।
ব্যবসায়ীরা এক প্রতিবেদনে দুদককে জানান, কক্সবাজারে চার শতাধিক হোটেল-রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এসবের অন্তত ৩০টি হোটেল-রেস্টুরেন্ট ও জাহাজের রাজস্ব ফাঁকির আলামত খুঁজে পেয়েছে দুদক। পরে এ বিষয়ে কমিশন থেকে একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়।
সুশান্ত পাল বর্তমানে কুষ্টিয়া কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেট অফিসের ডেপুটি কমিশনার হিসেবে কর্মরত। ৩০তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেন তিনি। ফেসবুকে তার অনুসারী প্রায় ১৮ লাখ। বিভিন্ন মোটিভেশনাল কথা বলার কারণে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় মুখ তিনি।
এর আগে ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর ‘ভ্যাটের হাজার কোটি টাকা মিলেমিশে লোপাট’ শিরোনামে যুগান্তরে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে ওই বছরের ২১ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান সান্ত্বনা ও অ্যাডভোকেট মো. শামসুদ্দোহা।
ওইদিন অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য এনবিআর, দুদক ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে তদন্তে কক্সবাজারের হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোর বিরুদ্ধে গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করা ভ্যাটের টাকা লোপাটের প্রমাণ মেলে।