Logo
Logo
×

জাতীয়

গণগ্রন্থাগারের মুক্ত আলোচনা

প্রকল্প শেষের সঙ্গে কীভাবে চলমান থাকবে তার নির্দেশনা থাকে না: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:০৮ পিএম

প্রকল্প শেষের সঙ্গে কীভাবে চলমান থাকবে তার নির্দেশনা থাকে না: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, বিভিন্ন প্রকল্প নির্মাণ এবং কাজ শেষ হওয়ার বিষয়ে সঠিক নির্দেশনা থাকলেও প্রকল্পটি সঠিকভাবে কীভাবে চলমান থাকবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকে না। 

এ সময় তিনি বলেন, এই নির্দেশনা না থাকার কারণে অনেক প্রকল্প শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সুফল বয়ে আনতে পারে না। তাই প্রকল্প শেষের পাশাপাশি সেটি কীভাবে চলমান হবে, সচল থাকবে; সেই বিষয়ের সুস্পষ্ট উল্লেখের বিষয়টিতে জোর দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: ‘স্যার আমার সন্তানদের জামিন দিয়েন না’, হাইকোর্টে বৃদ্ধ মায়ের আর্তনাদ

তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে থাকাকালীন কিছু অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে বলেন, সেই সময় কয়েকটি স্কুল নির্মাণ করা হলো। কিন্তু যারা কাজ করেছেন, তারা শুধু নির্মাণ পর্যন্তই শেষ। সংশ্লিষ্ট অনেককে বিদ্যালয়গুলো কীভাবে চলবে, জনবল কোথা থেকে আসবে— এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

সোমবার রাতে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত গ্রন্থাগার এবং উন্নত বাংলাদেশ' শীর্ষক মুক্ত আলোচনা রোববার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। 
প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন সাংস্কৃতিকবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। স্বাগত বক্তব্য ও সেমিনার পরিচালনা করেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, প্রকাশক শ্যামল পাল প্রমুখ।

মো. মাহবুব মোরশেদ আরও বলেন, এখানে যে পাঠাগারের কথা বলা হয়েছে, সেটি ভবিষ্যতের পাঠাগার। আর তাই শুধু নিজেদের বিষয়গুলো চাপিয়ে না দিয়ে তাদের কাছ থেকেও জানতে হবে তারা কেমন পাঠাগার চায়।

ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রন্থাগার কেন্দ্র করে কমিউনিটি গড়ে ওঠে। সেখানে শিশু থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সবার অংশগ্রহণ থাকে। আমাদের দেশে সেটি হয়নি। সময় হয়েছে এ বিষয়গুলো নিয়ে গভীরভাবে ভাবার।

কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, পঠুয়া একটি জাতি গঠনের প্রথম পাঠ হতে হবে নিজ ঘরে। মায়েদের ঘরের এক কোনায় একটি পাঠাগার তৈরি করতে হবে। সেটা না সম্ভব হলে অন্তত কিছু বই রাখতে হবে।

মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডভিত্তিক যে কমিউনিটি সেন্টার আছে, সেগুলোতে বিয়ে আর জন্মদিনের পার্টি ছাড়া আর কিছুই হয় না। এই কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে পাঠাগারের ব্যবস্থা রাখা, নিয়মিত পাঠচক্র করার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

আবু বকর সিদ্দিক গণগ্রন্থাগারের কাজের বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, স্মার্ট গ্রন্থাগার স্মার্ট বাংলাদেশ স্লোগানে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পাঠাগারের ব্যবহারের সঙ্গে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে কীভাবে আরও সম্পৃক্ত করা যায় সে বিষয়েও কাজ চলমান।

খলিল আহমদ বলেন, আধুনিক পৃথিবীতে মানুষ পাঠাগারে নয়, পাঠাগার মানুষের কাছে যাচ্ছে। আমাদেরও তেমন উদ্যোগ আছে। পাঠাগারের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য আমরা প্রায় ৫ কোটি টাকার ই-বুক কিনছি। বিশ্বের বিভিন্ন পাঠাগারের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছি।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম