বস্ত্রখাতে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা পাচ্ছে ১১ সংগঠন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৬ পিএম
জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষে বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন, বস্ত্র শিক্ষার সম্প্রসারণ ও রফতানি বাড়াতে ভূমিকা রাখায় ১১টি সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পের ইতিহাস সুপ্রাচীন এবং গৌরবময়। বস্ত্রখাত দেশের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বস্ত্রখাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি, যুগোপযোগীকরণ ও বিনিয়োগে আকৃষ্টকরণ এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে প্রতিবছর ৪ ডিসেম্বর ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ দেশব্যাপী উদযাপন করা হয়ে থাকে। তবে নির্বাচনের কারণে গত বছর বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
দেশের রফতানি আয়ের সিংহভাগ বস্ত্রখাত থেকে আসে জানিয়ে নানক বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও বস্ত্রখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে উদ্যোক্তা শ্রেণিকে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে যথোপযুক্ত নীতি প্রণয়ন ও কর্মসূচি গ্রহণ, প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, উপযুক্ত ভৌত অবকাঠামো এবং অভ্যন্তরীণ বাজার সম্প্রসারণ নীতিমালা সংবলিত স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে মর্মে অঙ্গীকার করা হয়েছে বলেও জানা মন্ত্রী। তিনি বলেন, এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সরকার বস্ত্রখাতের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। এ ছাড়াও বর্তমান সরকারের রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার মোতাবেক মিশন,ভিশন প্রস্তুত ও কার্যাবলী নির্ধারণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, দিবসটি উপলক্ষে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপাতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন। এ অনুষ্ঠানে বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন, বস্ত্র শিক্ষার সম্প্রসারণ ও রফতানি বাড়াতে ভূমিকা রাখায় ১১টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয়া হবে।
সম্মাননার জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন গুলো হল- বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ স্পেশালাইজড টেক্সটাইল মিলস অ্যান্ড পাওয়ারলুম ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএসটিএমপিআইএ), বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ), বাংলাদেশে গার্মেন্ট বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ), বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিটিএলএমএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স), বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমএ), বাংলাদেশ এমব্রয়ডারী ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিইএমইএ) এবং বাংলাদেশ তাঁতী সমিতি।
জাহাঙ্গীর কবির নানক আরও বলেন, দেশের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত বস্ত্র। সরকার বস্ত্রখাতের অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় করে এখাতের উন্নয়নকে গতিশীল রাখার পাশাপাশি বস্ত্র অধিদফতর পোষক কর্তৃপক্ষের সকল সেবা ওয়ানস্টপ সার্ভিস এর মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে প্রদান করছে। বস্ত্র শিল্পের উন্নয়ন ও বিকশিত করার নিবন্ধিত বস্ত্রশিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের মাধ্যমে কমপ্লায়েন্স পর্যবেক্ষণ ও নিশ্চিত করা হচ্ছে। বর্তমানে তৈরি পোষাক শিল্পে উন্নতমানের ২০৬টি সবুজকারখানার নিয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ, বস্ত্র অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. নূরুজ্জামান প্রমুখ।