ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেফতার ২

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:১৫ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে মূলহোতাসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। তারা হলেন- মো. মাহদী হাসান খান (২২) ও মো. আব্দুর রহমান সোহান (২০)।
রোববার গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকা থেকে সাইবার পুলিশ সেন্টার ও সিআইডি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন, ১০টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।
সিআইডি জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেইক আইডি খুলে বিভিন্ন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন পাওয়া যায় বলে বিজ্ঞাপন দিতো। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামি মো. মাহদী হাসান খান ২০২৩ সাল থেকে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ফেইক ফেসবুক আইডি ও পেজ খুলে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার সময়ে আইডিগুলো সচল করে। ফেসবুকে প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় বলে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে তাদের ফেসবুক আইডি/পেজ থেকে ব্লক করে দেয়। অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য সে তার নিজের নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার না করে ভুয়া নামে পার্সোনাল ও মার্চেন্ট এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতো।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত এসএসসি, এইচএসসি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগসহ অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষার আগে ওই পরীক্ষা সংক্রান্ত ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করে পরীক্ষার আগে ১০০ ভাগ কমন প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় বলে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিজ্ঞাপন দিতো ও কমেন্ট সেকশনে কমেন্টস করতো। তার বিজ্ঞাপন ও কমেন্টস দেখে পরীক্ষার্থীরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রশ্ন দেওয়ার কথা বলে অগ্রিম টাকা নিয়ে তাদের ব্লক করে দিতো।
গ্রেফতারকৃত অপর আসামি মো. আব্দুর রহমান সোহান পূর্বে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন হাউসে চাকরি করতো। সেই সুবাদে সে কোনো রকম কাগজপত্র ছাড়াই ভুয়া দোকানের নামে এমএফএসের মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলে দিতো। প্রতারণার টাকা লেনদেনের জন্য সেই মার্চেন্ট সিম আসামি মো. মাহদী হাসান খানের (২২) কাছে সরবরাহ করতো।
সাইবার পুলিশ সেন্টারে তদন্তাধীন ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রতারণার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।