বিচারিক কার্য পর্যবেক্ষণ
বাংলাদেশের বিচার বিভাগ নিয়ে যে মন্তব্য করলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৩২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশোবন্ত চন্দ্রচূড় বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বিচার বিভাগ প্রায় একই। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। দুই দেশের বিচার বিভাগ ও সংস্কৃতি প্রায় একই।
রোববার সকালে আপিল বিভাগে বিচারিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ শেষে বিচারপতি ধনঞ্জয় যশোবন্ত চন্দ্রচূড় এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিচারকাজ পর্যবেক্ষণ করলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও আপিল বিভাগের অপর পাঁচ বিচারপতির সঙ্গে রোববার সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে এজলাসে (প্রধান বিচারপতির কোর্ট) আসেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশোবন্ত চন্দ্রচূড়। তার সঙ্গে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দুজন বিচারপতি। তারা হলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস।
বাংলাদেশের আপিল বিভাগের অপর পাঁচ বিচারপতি হলেন বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন।
এজলাসে আসন গ্রহণের পর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আমাদের জন্য আজকের দিনটি বিশেষ। ভারতের প্রধান বিচারপতি ও দেশটির দুজন বিচারপতি উপস্থিত আছেন।
এর পর ভারতের প্রধান বিচারপতি ও অপর দুই বিচারপতিকে অভিনন্দন জানান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধান বিচারপতি ও দুজন বিচারপতির উপস্থিতি অত্যন্ত সম্মানের। তিনজন বিচারপতির উপস্থিতি এই প্রথম, যা ইতিহাসের অংশ।
অতিথিদের ভবিষ্যতে আবার বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।তিনি বাংলাদেশের আইনজীবীদের জন্য ভারতে বিচারিক প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তাব দেন।
এর পর আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। কার্যতালিকার ১ থেকে ৫ নম্বর ক্রমিক থাকা মামলার শুনানি গ্রহণ করে সিদ্ধান্ত দেন আপিল বিভাগ।
যা পর্যবেক্ষণ করেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশোবন্ত চন্দ্রচূড় ও দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস।
এর পর ভারতের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশোবন্ত চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আমি ও আমার সিনিয়র দুজন সহকর্মীর জন্য বিষয়টি অত্যন্ত সম্মানের।’
পর্যবেক্ষণ করা মামলার শুনানির বিষয়ে ভারতের প্রধান বিচারপতি বলেন, এ ক্ষেত্রে তিনিও অনুরূপ আদেশ দিতেন।
আইনজীবীরা প্রশিক্ষণের জন্য আগ্রহী হলে সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন ভারতের প্রধান বিচারপতি।