Logo
Logo
×

জাতীয়

তামাকজনিত রোগে বছরে এক লাখ ৬১ হাজার মৃত্যু

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম

তামাকজনিত রোগে বছরে এক লাখ ৬১ হাজার মৃত্যু

বাংলাদেশে প্রায় পৌনে ৪ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহণে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তামাকজাত দ্রব্যের বহুল ব্যবহার হৃদরোগ, ক্যানসার, বক্ষব্যাধি এবং অন্যান্য অনেক প্রতিরোধযোগ্য রোগ এবং মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। এমনকি তামাকজনিত রোগে দেশে প্রতিবছর এক লাখ ৬১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এ মৃত্যু প্রতিরোধে দ্রুত বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা প্রয়োজন।

শনিবার রাজধানীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসকদের ভূমিকা: পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আব্দুল আউয়াল রিজভীর সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার (অব.) অধ্যাপক ডা. ইউনুছুর রহমান। 

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী। তিনি বলেন, দিন যত যাবে তামাকজনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। তামাকের এসব ক্ষতি থেকে জনস্বাস্থ্যকে রক্ষার জন্য দ্রুত বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করতে হবে। তা না হলে তামাকজনিত এ অকাল মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না।

সেমিনারে বিএমএর কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মোহা. শেখ শহীদ উল্লাহ বলেন, বিএমএ সাধারণত চিকিৎসকদের নিয়ে কাজ করলেও জনস্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তামাকের ভয়াবহতা থেকে জনস্বাস্থ্যকে রক্ষা করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিএমএ। তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের একযোগে কাজ করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসকরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন। তারা রোগীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি ও তামাক ব্যবহার ছেড়ে দিতে উৎসাহিত করতে পারেন। তাহলে তামাক ব্যবহারে জনসাধারণ নিরুৎসাহিত হবে।

ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক ড. মাহিন মালিক বলেন, দেশের চিকিৎসকরা তামাক নিয়ন্ত্রণে সমাজে কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ। একইসঙ্গে তামাক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের নীতি-নির্ধারণে যেভাবে প্রভাব ফেলছে তা অতুলনীয়।

সমাপনী বক্তব্যে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. আব্দুল আউয়াল রিজভী বলেন, তামাক দেহের প্রত্যেক অঙ্গ-প্রতঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যেটা আমরা চিকিৎসক হিসেবে এবং চিকিৎসা দিতে গিয়ে ব্যাপকভাবে বুঝতে পারছি। এজন্যই দেশের তরুণ চিকিৎসকদের নিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছি।  

সেমিনারে ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে)-বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ, প্লাটফর্ম ডক্টরস ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি, তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম