Logo
Logo
×

জাতীয়

স্বাস্থ্যসেবা গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৫ পিএম

স্বাস্থ্যসেবা গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবা শুধু শহরকেন্দ্রিক নয়, একেবারে গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেটাই চান। আমরা স্বাস্থ্যসেবা বিকেন্দ্রীকরণে কাজ শুরু করেছি। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে ‘পিএইচএ গ্লোবাল সামিট-২০২৪’-এর উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, চিকিৎসা প্রশিক্ষণার্থী বিনিময় কর্মসূচির মতো উদ্যোগগুলো শুধু আন্তঃসাংস্কৃতিক শিক্ষাকে উৎসাহিত করবে না, আমাদের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সম্মিলিত অভিজ্ঞতাকেও সমৃদ্ধ করবে। দেশে এবং দেশের বাইরে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ড সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।

সামিট-২০২৪ এ দুই হাজারের বেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, গবেষক, শিক্ষাবিদ ও মেডিকেল শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। স্পিকার হিসাবে রয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ৫০ জন চিকিৎসা বিজ্ঞানী এবং দেশের শতাধিক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ।

৯ দিনের সম্মেলনে থাকছে ৩০টির বেশি কোর্স এবং সাইন্টিফিক সেশন। দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এই সম্মেলন শুধু বাংলাদেশেই নয়; দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম।

পিএইচএ গ্লোবাল প্লানেটারি হেলথ একাডেমিয়া (পিএইচএ) চেয়ারপারসন ডা. তাসবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, বিসিপিএস সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল­াহ, ইউনাইটেড হেলথ কেয়ারের সিইও ডা. মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি. এর ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্লানেটারি হেলথ একাডেমিয়া (পিএইচএ) এর ট্রাস্টি ডা. নাসির খান।

সভাপতির বক্তব্যে প্লানেটারি হেলথ একাডেমিয়া (পিএইচএ) চেয়ারপারসন ডা. তাসবিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের মেডিকেল চিকিৎসার শিক্ষাক্রমে যথেষ্ট দুর্বলতা রয়েছে। উন্নত দেশগুলোর তুলনায় মেডিকেল শিক্ষা চার থেকে পাঁচ বছর পিছিয়ে রয়েছে। এ কারণে সম্প্রতি বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে।

অনুষ্ঠানে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কৃতরা হলেন-রংপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ বায়েজিদ সরকার ও সজিব মিয়া, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের পলাশ হোসেন, পাবনা মেডিকেল কলেজের তাহসিন আহমেদ আলভী, রংপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের মাহবুব আলম।

এদিকে ২০২৩ সালে শিক্ষা, চিকিৎসা শাস্ত্রে, স্বাস্থ্য সেবা তথা জনস্বার্থে বিশেষ অবদানের জন্য  ৮ জন চিকিৎসককে অনারারি ফেলোশিপ দিয়েছে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এন্ড সার্জনস। অনারারি ফেলোশিপ পাওয়া আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসকগণ হলেন- ডা. সারাহ ক্যাথরিন ক্লার্ক, অধ্যাপক টিমোথি গ্রাহাম, ডা. রানী ঠাকুর, ডা. ফ্রাজ মীর, ডা. রোয়ান বার্নস্টেইন, অধ্যাপক ডেভিড ট্যাগার্ট,  ডা. জগৎ নরুলা এবং ডা. সার্জিও লারাচ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম