Logo
Logo
×

জাতীয়

বিশ্ব চিন্তা দিবস

নারী সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে আরও এগোতে হবে: ড. রেবেকা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৩ পিএম

নারী সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে আরও এগোতে হবে: ড. রেবেকা

ঢাকায় বিশ্ব চিন্তা দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় কার্যালয় ও রাজধানী অঞ্চলের যৌথ উদ্যোগে নিউ বেইলি রোডস্থ গাইড হাউজ জাতীয় কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশ্ব চিন্তা দিবস ২০২৪’ উদ্যাপিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা। বিশ্ব চিন্তা দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য হলো, ‘আমাদের পৃথিবী আমাদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ’। 

ড. রেবেকা সুলতানা বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে। নারীরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে সম্মান বয়ে আনছে। নারীরা নিজ যোগ্যতায় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। সবক্ষেত্রে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে অবদান রাখছে। তবে এখনো আমাদের বহুদূরের পথ পাড়ি দিতে হবে। 

রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী আরও বলেন, আমিও স্কুলজীবনে গাইড সদস্য ছিলাম। বহুদিন পর এ প্রতিষ্ঠানের এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে হলদে পাখি, গাইড, রেঞ্জার বন্ধুদের দেখে আমার স্কুলজীবনের কথা মনে পড়ে গেল। আজ বলতে চাই, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে। সব সময় সৎ চিন্তা করবেন, সৎপথে চলবেন, তাহলে নিশ্চয় সফলতা পাবেন। তাহলেই আমরা গড়তে পারব জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় কমিশনার কাজী জেবুন্নেছা বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা, সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজ, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান এবং এশিয়া প্যাসেফিক রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান চেমপাকা ইমালিন বিনতি পাহামিন। 

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হলদে পাখি, গাইড ও রেঞ্জাররা সংগীত, নৃত্য এবং নাটিকা পরিবেশন করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং অধিদপ্তর, শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিশিষ্ট ব্যক্তি, জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

আয়োজক সংগঠন জানায়, ১৯৭২ সালে জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশন একটি জাতীয় সংস্থা হিসাবে অনুমোদন লাভ করে। ১৯৭৩ সালে এ অ্যাসোসিয়েশনকে মেয়েদের শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানরূপে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং ওই বছরই এ সংগঠন ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যপদ লাভ করে। 

বয়সের ভিত্তিতে গার্ল গাইডসের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা চার শাখায় বিন্যাস করা হয়েছে: ১. হলদে পাখি (৬-১০ বছর), এর মূলমন্ত্র সাহায্য করা। ২. গার্ল গাইডস (১০-১৬ বছর), এর মূলমন্ত্র সদা প্রস্তুত থাকা। ৩. রেঞ্জার (১৬-২৪ বছর), এর মূলমন্ত্র সমাজসেবা। ৪. যুবনেত্রী গাইড (২৪-৩০ বছর), এর মূলমন্ত্র সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভালোবাসা এবং ধর্মের একনিষ্ঠ অনুসরণ।

বর্তমানে দেশের প্রতিটি জেলায় গার্ল গাইডিং আছে। ক্যাম্পিং বা শিবিরবাস গাইড শিক্ষা কর্মসূচির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গাজীপুরের বারিপাড়ায় অ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব ক্যাম্প রয়েছে। সারা বছর হাতেকলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে অনুষ্ঠিত ক্যাম্পে অংশগ্রহণ অত্যাবশ্যক। অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় গাইড পরিষদ, আঞ্চলিক গাইড পরিষদ, জেলা গাইড পরিষদ এবং উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় গাইড পরিষদ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম