গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো, যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম
গাজায় যুদ্ধবিরতি চেয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আনা প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোকে ‘হতাশাব্যাঞ্জক’ আখ্যা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, গাজায় চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে এবং এটি আন্তর্জাতিক আইন-কানুনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কেউ কেউ ইসরাইলিদের নিরাপত্তার কথা বলে, তাহলে এই ফিলিস্তিনি নারী-শিশুদের নিরাপত্তা, ফিলিস্তিনিদের অধিকার কোথায় গেলো। আমরা কোথাও যুদ্ধ চাই না, যুদ্ধ বন্ধ হোক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো দেওয়ায় প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় হাছান মাহমুদ আরো বলেন, গাজায় নারী-শিশুদের নির্বিচারে হত্যাই শুধু নয়, সেখানে পানি-বিদ্যুৎসহ সকল ‘বেসিক সাপ্লাই লাইন’ পরিকল্পিতভাবে ব্যাহত করা হচ্ছে, হাসপাতালে অভিযান-হামলা চালানো হচ্ছে।
এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইওসেফ আল দুহাইলান, মিসরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন ফাহমী এবং অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, এক সময় সৌদি আরবের সঙ্গে শুধুমাত্র জনশক্তি রপ্তানি আর হজের সম্পর্ক ছিল। এখন এ সম্পর্ককে আমরা বিনিয়োগ সম্পর্কে রূপ দিতে চাই। সৌদি আরবের সরকার এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ইকোনমিক জোনে সৌদি আরবকে ৩০০ একর জমির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তারা আরও ৩০০ একর জমি তারা চেয়েছে। বৈঠকে তাদের মধ্যপ্রাচ্যব্যাপী পরিবেশ পরিকল্পনা ‘সৌদি গ্রিন ইনিশিয়েটিভে’ বাংলাদেশি কৃষিবিদসহ অন্যদের ভূমিকা রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান হাছান মাহমুদ।
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে।
চলতি বছর মিসরের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে- শিগগিরই এটি উদযাপিত হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মিসর তাদের দেশে পাট চাষ করতে চায়, এ বিষয়ে তারা বাংলাদেশের সহায়তা চেয়েছে। আমরা বলেছি, এ বিষয়ে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে মন্ত্রী জানান, আইসিটি, চামড়া খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তারা এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের বড় উন্নয়ন অংশীদার অস্ট্রেলিয়াকে ইকোনমিক জোনগুলোতে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানিয়েছি। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির বিষয়েও আলাপ হয়েছে।