যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ইউটিউবার ও বাংলাদেশি সাংবাদিক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন গ্রেফতার হয়েছে। নিউইয়র্ক পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
রোববার স্থানীয় সময় সকালে তাকে গ্রেফতার করার তথ্য দিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ।
এক ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদা দাবি ও হুমকির মামলায় নিউইয়র্কের অদূরের দ্বীপ স্ট্যাটেন আইল্যান্ড থেকে ইলিয়াসকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার কুইন্স ক্রিমিনাল কোর্টে তাকে সোপর্দ করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের ১১৩ প্রেসিঙ্কটের পরোয়ানা অনুযায়ী ইলিয়াসকে গ্রেফতার করা হয়। এ পরোয়ানায় তাকে ধরিয়ে দিতে বা খোঁজ দিতে অনুরোধ করা হয়েছিল।
নিউইয়র্কের কুইন্স কাউন্টি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ইলিয়াসকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য তার বাড়ির দরজা ও শহরের বিভিন্ন স্থানে ‘ধরিয়ে দিন’ পোস্টার লাগিয়েছিল।
নিউইয়র্ক পুলিশের ওই পরোয়ানায় ওই ব্যক্তির নাম বলা হয়নি। তবে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলো তাদের নিউইয়র্ক প্রতিনিধির বরাতে ওই ব্যক্তির নাম জ্যাকব মিল্টন বলে খবর প্রকাশ করেছে।
জ্যাকব মিল্টন নিউইয়র্ক বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নীরা রাব্বানীর ভাই।
নীরা রাব্বানী ও তার মেয়ে প্রেমা রাব্বানী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্যের ভিডিও পোস্ট করায় ইলিয়াসের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছেন।
একটি মামলায় গত ১ ফেব্রুয়ারি ১১৩ প্রেসিঙ্কটে গিয়ে আত্মসমর্পণের পর ২১ ফেব্রুয়ারি তাকে আদালতে হাজিরার নোটিস (ডিএটি) দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল বলে তখন খবর প্রকাশিত হয়।
২০২২ সালের ৭ নভেম্বর আরেকবার ইলিয়াসকে নিউইয়র্ক পুলিশ গ্রেফতার করেছিল নীরা রাব্বানীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে।
এর আগে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী আলোচিত মিতু হত্যা মামলা নিয়ে মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করেছিলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক ইলিয়াসসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ১৮ জানুয়ারি
২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই বছরের ১০ নভেম্বর বাবুল আক্তারকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ মামলায় বাবুল আক্তারের ভাই লাবু ও বাবা ওয়াদুদ জামিনে রয়েছে। তবে সাংবাদিক ইলিয়াস পলাতক রয়েছে।
তদন্ত শেষে গত ৯ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। তবে বিশেষ ক্ষমতা আইনের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।