Logo
Logo
×

জাতীয়

দাদার মৃত্যু শোক সইতে না পেরে কিশোরীর আত্মহত্যা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৩ পিএম

দাদার মৃত্যু শোক সইতে না পেরে কিশোরীর আত্মহত্যা

রাজধানীর লালবাগে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার নাম উম্মে হাবিবা সুমা (১৫)। হাজারীবাগ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সে। পরিবারের দাবি, দাদার মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে সে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। 

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে সুমার দাদা আব্দুল খালেকের (৭২) মৃত্যু হয়। এর ঘণ্টাখানেক পর নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে ফাঁস দেয় সুমা। স্বজনরা দেখতে পেয়ে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক রাত ২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার হাসানপুর গ্রামের সুমন মিয়ার মেয়ে সুমা। পরিবারের সঙ্গে লালবাগ থানাধীন নবাবগঞ্জ ডুরি আঙ্গুল লেন বড় মসজিদের পেছনের একটি বাড়ির দ্বিতীয়তলার ভাড়া বাসায় থাকত সে।

চাচা রুমন মিয়া জানান, তার বাবা অর্থাৎ সুমার দাদা আব্দুল খালেক দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টের রোগী ছিলেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও তিনি ১৫ দিন চিকিৎসা নিয়েছেন। এরপর গত সপ্তাহে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।

পরিবারসূত্রে জানা গেছে, সুমা তার দাদার অনেক ভক্ত ছিল। সে তার দাদাকে অনেক যত্ন করত। ওষুধ, খাবার সময়মতো খাওয়ানো, গোসল করানো সব দায়িত্ব সেই পালন করত।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বাসায় মারা যান দাদা আব্দুল খালেক। এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়ে সুমা। দাদার লাশের পাশে বসে কুরআন তেলাওয়াত করে।

ঘণ্টাখানেক পর সে সেখান থেকে তার রুমে চলে যায়। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন কোনো কাজের জন্য তার রুমে ঢুকতে গেলে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পায়। তখন তাকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ মিলেনি। এতেই সন্দেহ হলে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে পরিবারের সদস্যরা দেখেন ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে ঝুলছে সুমা। দ্রুত তাকে নামিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পর পুলিশ তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম