বিএনপি নেতা আলতাফ ৩ আলাল ৪ মামলায় গ্রেফতার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:০০ পিএম
আলতাফ হোসেন ও আলাল
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে তিনটি এবং যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে আরও চারটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন এসব মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানোর (শ্যোন অ্যারেস্ট) আদেশ দেন।
গত ২৯ জানুয়ারি আলালকে এবং ৩০ জানুয়ারি আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে এসব মামলায় আইন অনুযায়ী জামিন আবেদন গ্রহণ করে নিষ্পত্তির আদেশ দেন হাইকোর্ট। সেই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার দুপুরে আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি হাজির দেখিয়ে এবং আলালকে স্বশরীরে হাজির করে এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
তবে এসব মামলার মূল নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতে রয়েছে। তাই নথি প্রাপ্তি সাপেক্ষে আজই তাদের জামিন শুনানি হতে পারে।
আসামিপক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন, মোসলেহ উদ্দিন জসীম, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ প্রমুখ আইনজীবী শুনানি করেন।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই তিন মামলায় আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে গ্রেফতার দেখাতে এবং ১৫ দিনের মধ্যে তার জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করতে ঢাকার সিএমএমকে নির্দেশ দেন।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়। মামলায় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, যানবাহন ভাঙচুর, রাস্তায় বেআইনি জমায়েত, সহিংসতা, সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি, পুলিশ সদস্যদের লাঞ্ছিত এবং দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
এসব মামলায় আলতাফকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি উল্লেখ করে গত ২১ জানুয়ারি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) তার করা জামিন আবেদন গ্রহণ করতে রাজি হননি। পরে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আলতাফ হোসেনের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার চৌধুরী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
অপরদিকে গত ২৯ জানুয়ারি রাজধানীর রমনা থানার তিনটি এবং পল্টন থানার একটি মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইনানুযায়ী তা নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। ১৫ দিনের মধ্যে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিএমএম) এ আদেশ পালন করতে বলা হয়েছে। এসব মামলায় সিএমএম আদালতে জামিন শুনানি করতে ব্যর্থ হয়ে আলালের পক্ষে পরে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
রাজধানীর পল্টন থানার এক মামলায় ৩১ অক্টোবর শাহজাহানপুরের একটি বাসা থেকে মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ মামলায় কারাগারে রয়েছেন তিনি।