তারুণ্যদীপ্ত সংগ্রামী ঐক্য ছিল শক্তির উৎস
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৬ এএম
দেশের যে কোনো আন্দোলনে তারুণ্যদীপ্ত সংগ্রামী ঐক্যই ছিল শক্তির আধার। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনও এর ব্যতিক্রম ছিল না। তরুণরাই রাজপথে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে ঐক্য গড়ে তুলেছে। করেছে সংগ্রামী। তরুণরাই মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় রাস্তায় নেমেছে, মিছিল করেছে, প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। ১৯৫২ সালের একুশের কর্মসূচিকে সফল করতে তারা আরও জোরালো প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল।
পতাকা দিবস পালনের সফলতা শেষে একুশের উদ্দীপনা ধরে রাখতে বা বাড়িয়ে তুলতে এ কর্মসূচি সহায়ক ভ‚মিকা পালন করে। জনসংযোগের বিষয়টি বলাবাহুল্য ইতিবাচক এবং তা মূলত তারুণ্যের সঙ্গে বয়সি জনসাধারণের।
১৯৫২-এর পূর্ববঙ্গীয় তারুণ্য কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই মাতৃভাষার জয় ছিনিয়ে আনতে রাজপথে নামে। তাদের পূর্বসূরিদের লক্ষ্য ছিল সংকীর্ণতামুক্ত সামাজিক বিকাশ। আর বায়ান্নর তরুণদের স্বপ্ন ও চেষ্টা ছিল মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা আর সে উদ্দেশে সংগ্রাম করা। তাদের উচ্চারিত স্লোগানগুলোয় যেমন ছিল মাতৃভাষা বাংলার রাষ্ট্রনৈতিক অধিকার অর্জনের, তেমনই তাতে ছিল বাঙালির স্বাধীন জাতিচেতনার প্রচ্ছন্ন উপস্থিতি।
ঢাকার রাজপথে বায়ান্ন- ফেব্রুয়ারির একাধিক দিনে ছোট ছোট পতাকা হাতে বাঙালি তরুণদের পথচলার উদ্দেশে পতাকা বিক্রি করে শুধু অর্থ সংগ্রহই নয়, লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করাও। যাতে একুশের সাফল্য অর্জন নিশ্চিত করা যায়।
শুধু রাজধানী ঢাকায়ই নয়, এ প্রচেষ্টা চলেছে দেশের ছোট-বড় শহরগুলোয়ও। আর নেপথ্যে রাজনৈতিক দল সমর্থন জুগিয়েছে, কখনো নীরবে তা লক্ষ্য করেছে। অন্যদিকে আÍগোপনে থাকা কমিউনিস্ট পার্টি তাদের নিজস্ব সার্কুলারে ঐক্যের পথ গ্রহণের জন্য, ছাত্র-জনতার ঐক্যের সংহত চরিত্র অর্জনের জন্য ছাত্রসমাজের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
সে ঐক্য ছিল ছাত্রসমাজের তথা তারুণ্যের, তেমনই সরকারবিরোধী সর্বদলীয় চরিত্রের হতে হবে-এমনই ছিল তাদের আহবান। সর্ববাদী ঐক্য না হলে শক্তিমান শত্রুকে পরাজিত করা যাবে না, এমনটাই ছিল তাদের বিশ্বাস। অর্থাৎ ঐক্য তরুণ ও বয়সিদের, ঐক্য সব বয়সের বাঙালির, তথা মানুষের।