Logo
Logo
×

জাতীয়

সীমান্তে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এখন প্রধান কাজ: রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫০ এএম

সীমান্তে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এখন প্রধান কাজ: রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর

মিয়ানমারের ভেতরে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) লড়াই বিরতিহীনভাবে চলছে। মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি, মর্টারশেল এসে পড়ছে এপারে বাংলাদেশের বসতঘরে।

ইতোমধ্যে দুজন নিহতও হয়েছেন। মিয়ানমার সীমান্ত অতিক্রম করে দেশটির বর্ডার গার্ডের (সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি) দুই শতাধিক সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। এ নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে বাংলাদেশ সীমান্তে। সাবেক রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক এম হুমায়ুন কবির মনে করেন, মিয়ানমারে জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধের চেহারা দেখে মনে হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। 

এখন এটি আমাদের জন্যও তো অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। কারণ সীমান্ত অতিক্রম করে গোলাগুলি আসছে, লোকজন মারা যাচ্ছে, মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কথা তো পরেই না বলব। সামরিক সংঘাত তো সবার জন্যই পরিহার্য। কিন্তু বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য এটি একটি নতুন করে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে বলে আমার মনে হয়। আমাদের দিক থেকে সম্ভাব্য যা যা উদ্যোগ দরকার তা তো করতেই হবে। এখন যে প্রয়োজনীয় কাজগুলো করা দরকার তা হচ্ছে সীমান্তে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা। এটি হচ্ছে আমাদের প্রধান কাজ। লোকজনকে নিরাপদে রাখা, যাতে লোকজনের ক্ষতি না হয়। লোকজন ইতোমধ্যে মারাও গেছে। কাজেই আর যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেজন্য তাদের সরিয়ে আনা দরকার। 

সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, ইতোমধ্যে সরকার স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে। লোকজনকে সরিয়েও নিয়েছে। কিন্তু কথা হলো এই যুদ্ধাবস্থাকে কীভাবে সামাল দেওয়া যায়, অর্থাৎ এখন ঠিক হবে আপাতত কীভাবে যুদ্ধটা বন্ধ করা যায়। সেদিক থেকে আমরা কূটনৈতিক উদ্যোগ তো রাখছি। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে বলা হয়েছে। আমাদের রাষ্ট্রদূত যিনি মিয়ানমারে আছেন, তাকেও ওখানে কথা বলতে বলা হয়েছে। এটা দ্বিপাক্ষিকভাবে হবে। 

এম হুমায়ুন কবির আরও বলেন, এছাড়া আমাদের যারা আঞ্চলিক বন্ধুরা আছেন, যেমন ভারত ও চীন আছে, আসিয়ানের সদস্যরা আছেন, তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলতে পারি। তবে আমার মনে হচ্ছে চীনারা ইতোমধ্যে শান এবং চিন প্রদেশে এক ধরনের যুদ্ধবিরতির আয়োজন করেছে। এটা এখনো বজায় আছে। আরাকানের ব্যাপারেও চীনারা একই উদ্যোগ নিতে পারে কিনা সেজন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে চলমান যে সমস্যা সেটা আপাতত থামানো দরকার। রোহিঙ্গা শরণার্থী বা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে তো  আলোচনা ছিল, এখনো আছে। ভবিষ্যতেও শান্তিপূর্ণ অবস্থা যখন ফিরে আসবে তখন এ নিয়ে আবার আলোচনা শুরু করা যেতে পারে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম