Logo
Logo
×

জাতীয়

সেবার মান বাড়াতে ঢাকায় নামবে ১৪০ এসি বাস

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪২ পিএম

সেবার মান বাড়াতে ঢাকায় নামবে ১৪০ এসি বাস

 ঢাকার গণপরিবহন সেবার মান বাড়াতে ১৪০টি এসি বাস নামানো হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম। 

সোমবার রেল ও সড়ক বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা জানান। 

বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান বলেন, এসি বাসগুলোয় মেট্রোরেলের মতো সুবিধা থাকবে। আরামদায়কভাবে নগরবাসী চলাচল করতে পারবেন। প্রাথমিক কার্যক্রম শেষ করে এখন দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়ায় রয়েছে এসি বাস নামানোর উদ্যোগ। 

তিনি বলেন, বিআরটিসি ডুবতে বসেছিল। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ঠিকমতো বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পারত না। তবে ২০২০ সালে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। দায়িত্ব নিয়ে ১১১টি সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানে কাজ শুরু করি। বিগত তিন বছরে স্বল্প সংখ্যক বাদে সব সমাধান হয়েছে। পাশাপাশি নতুন নতুন অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। 

তিনি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার সময় দেখেছি বিআরটিসি’র লোকেরা প্রকল্প তৈরি করতে পারেন না। ইতোমধ্যে অনেকটা উন্নয়ন ঘটেছে। তবে এখনো পুরোপুরি দক্ষ হতে পারেননি এখানকার কর্মকর্তারা। কেনাকাটার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট দুর্বলতা রয়েছে। 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিআরটিসি চেয়ারম্যান বলেন, ২০২০ সালের আগের বিআরটিসি ছিল দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। এখনকার বিআরটিসি বদলে যাওয়া বিআরটিসি। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি ৮০ ভাগ অনিয়ম ও দুর্নীতি কমেছে। এই চর্চা অব্যাহত থাকলে ধাপে ধাপে বিআরটিসি যোগাযোগ খাতে বড় অবদান রাখবে।

তিনি বলেন, আর্কিকুলেটেড বা জোড়া লাগানো দুটি বাসের সংযোগ করা হয় রাবার বেলোজ দিয়ে। বিদেশ থেকে আমদানি করা এমন কিছু বাসের রাবার বেলোজ নষ্ট হওয়ায় বাসগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছিল। সেগুলো আমদানি করতে ৩৩ লাখ টাকা করে খরচ পড়ে। বিআরটিসির প্রকৌশলীদের সহযোগিতায় জিনজিরা থেকে পুরাতন যন্ত্রাংশ দিয়ে মাত্র ৪০ হাজার টাকায় তার সমাধান করা হয়েছে। এখন বিআরটিসির বাস পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয় না। 

তিনি বলেন, অনেক বাস ব্যবসায়ীর কাছে গল্প শুনেছি-এক বা দুটি বাস থেকে তারা শতাধিক বাসের মালিক হয়েছেন। আর বিআরটিসি ক্ষতির মুখে পড়ে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হয়ে যায়। সে অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটেছে। এখন বিআরটিসি সরকারের কোনো ধরনের সহায়তা ছাড়াই চলছে। ইতোমধ্যে আগের ৭১ কোটি টাকা ঋণও পরিশোধ করেছে। 

তিনি জানান, দক্ষতার ভিত্তিতে বিআরটিসি’র কর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়। তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধা সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে দুর্নীতির পরিমাণ কমেছে। পাশাপাশি অদক্ষ কর্মীদের বেতন বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়। জবাবে কর্মীরা মুচলেকা দিলে বেতন চালু হয়। ফলে তারা সতর্ক হয়েছে, দুর্বলতা দূর করে প্রতিষ্ঠানে অবদান রাখছে। আর যারা মনোযোগী হয় না, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে সমস্যার সমাধান করা হয়।  

চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ফুটবলে মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাদ খোলা বাস তৈরির চাহিদা দেওয়া হয়। আগে এমন অভিজ্ঞতা না থাকলেও বিআরটিসি’র প্রকৌশলী ও কর্মীদের প্রচেষ্টায় তা করা সম্ভব হয়। এটা করতে পারায় প্রধানমন্ত্রীর ভ‚য়সী প্রশংসা পেয়েছে বিআরটিসি। যারা এটা সফলতার সঙ্গে করেছেন, তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, কর্মীদের দক্ষ করে তুলতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ল্যাবরেটরিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হয়েছে। ফলে বিআরটিসি পরিবহণে দুর্ঘটনা কমে গেছে। 

রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডে’র (থ্রিআর) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আলোচনায় আরও অংশ নেন-থ্রিআরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম এবং বিআরটিসির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম