Logo
Logo
×

জাতীয়

দেশের গণমাধ্যমের নেতৃত্ব দিক যুগান্তর: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:০৩ পিএম

দেশের গণমাধ্যমের নেতৃত্ব দিক যুগান্তর: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, যুগান্তর যুগ ‍যুগ ধরে এগিয়ে যাক, বেঁচে থাকুক স্বমহিমায়, ভালো থাকুক। দৈনিক যুগান্তর বাংলাদেশের গণমাধ্যমের নেতৃত্ব দিক— এটিই আমার প্রত্যাশা। একই সঙ্গে প্রত্যাশা থাকবে গণমাধ্যমের যে দায়িত্ব সেটি যথাযথভাবে পালন করবে যুগান্তর। 

দৈনিক যুগান্তরের ২৫ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার পত্রিকাটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

আরও পড়ুন: পঁচিশে যুগান্তর, বর্ণিল আয়োজনে উদযাপন

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের দুটি দিক আছে। একটি হলো— দায়িত্বশীলতা, আরেকটি বাণিজ্যিক। আমি মনে করি, গণমাধ্যমে যে বিনিয়োগ, সেটি হোক অবাণিজ্যিক। অনেক সময় মিডিয়াতে বিনিয়োগ করে লাভবান হওয়া যায় না। তার পরও বিভিন্ন গ্রুপ বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে, আমি এটিকে মানবিক মনে করি।  

তিনি বলেন, যুগান্তরের প্রতি আমার প্রত্যাশা থাকবে— পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে আরও বেশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে গণমাধ্যমটি। পাশাপাশি গণমাধ্যমের যে ভূমিকা তা সুচারুভাবে পালন করতে যুগান্তর সক্ষম হবে।  

আরও পড়ুন: সাহসের সঙ্গে সত্য বলার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাবে যুগান্তর: সাইফুল আলম

যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নুরুল ইসলামকে স্মরণ করে মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ২৪ বছর আগে নুরুল ইসলাম এই গণমাধ্যমে বিনিয়োগ করেছিলেন বলে আজকে বাংলাদেশ একটি চমৎকার গণমাধ্যম পেয়েছে। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি আমি।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, আজ যুগান্তর ২৪টি বছর পেরিয়ে ২৫ বছরে পা রাখছে। আজ আমাদের অনেক আনন্দের দিন, গৌরবের দিন। পাশাপাশি বেদনারও দিন। কারণ, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা নুরুল ইসলাম আমাদের থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেছেন। কিন্তু রেখে গেছেন তার অনেক স্মৃতি, অনেক আদর্শ। আজ ভারাক্রান্ত মনে তাকে ছাড়া তারই হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান যুগান্তরের জন্মদিনের কেক কাটছি আমরা।

আরও পড়ুন: যুগান্তরের সাহসী অভিযাত্রা অব্যাহত থাকবে: সালমা ইসলাম

অনুষ্ঠানে যুগান্তর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, সত্যের সন্ধানে নির্ভীক যুগান্তর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ন্যায়ের পক্ষে, সত্যের পক্ষে কলম ধরছে। অন্যায়ের বিপক্ষে দাঁড়াতে এক মুহূর্তও পিছপা হয়নি যুগান্তর। আমাদের এই শক্তি ও সাহসের বাতিঘর যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নুরুল ইসলাম। তিনি আজ আমাদের মধ্যে না থাকলেও অনুপ্রেরণা হয়ে আছেন।

সাইফুল আলম বলেন, যুগান্তরের প্রকাশক ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালকবৃন্দ যুগান্তরের অগ্রযাত্রায় আমাদের সঙ্গী হয়ে আছেন সর্বদা। আমি তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। সেই সঙ্গে যুগান্তরের সব পর্যায়ের সাংবাদিক ও কর্মী এবং তাদের পরিবারকেও আজ আমি ধন্যবাদ জানাই। সবার মেধা ও শ্রম মিলে যুগান্তরের সাফল্য রচিত হচ্ছে।    

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী, যমুনা গ্রুপের পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত ইসলাম, মনিকা নাজনীন ইসলাম, সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ ও কামরুল ইসলাম। যুগান্তরের যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ, যুগান্তরের উপসম্পাদক আহমেদ দীপু, এহসানুল হক, বিএম জাহাঙ্গীর ও আসিফ রশীদ, প্রধান বার্তা সম্পাদক আবদুর রহমান, নগর সম্পাদক মিজান মালিক, প্রধান প্রতিবেদক মাসুদ করিম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি শেখ মামুনুর রশীদ, দেলোয়ার হুসেন, মুজিব মাসুদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মাহবুব আলম লাবলু, বিজ্ঞাপন বিভাগের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) আবুল খায়ের চৌধুরী, ক্রীড়া বিভাগের প্রধান পারভেজ আলম চৌধুরী, সেন্ট্রাল ডেস্কের শিফট ইনচার্জ জোহায়ের ইবনে কলিম ও আজিজুর রহমান, মফস্বল ইনচার্জ নাইমুল কবির, অনলাইন ইনচার্জ মোহাম্মদ আতাউর রহমান, ফিচার বিভাগের ইনচার্জ সেলিম কামাল, আন্তর্জাতিক বিভাগের ইনচার্জ শামীম শাহজাহান, হিসাব বিভাগের প্রধান সাইফুল ইসলাম, প্রশাসন বিভাগের প্রধান আবুয়াল হোসেন সবুজ, সম্পাদনা সহকারী বিভাগের প্রধান আতিকুর রহমান চৌধুরী, সার্কুলেশন ম্যানেজার-আবুল হাসান ও সাইদুল হক প্রমুখ। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম