শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা: আজ আপিল করবেন ড. ইউনূস
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:২৬ এএম
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় বাতিল চেয়ে আজ রোববার আপিল করবেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে এ আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এ আইনজীবী বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি রোববার (আজ) আপিল করব। আপিলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বাকিরাও উপস্থিত থাকবেন। এরমধ্যে তিনি বিদেশ থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। আপিলে আমরা রায় বাতিল চাইব। আর আপিল চলাকালে রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত চাইব এবং জামিনও চাইব। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা ওই রায় দেন।
শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় তাদের সর্বোচ্চ ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর আসামিপক্ষ আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন। আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করে ৫ হাজার টাকা বন্ডে এক মাসের জন্য জামিন দেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক শোধ নেওয়া হয়েছে
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে কারাদণ্ড, যে বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের কারাদণ্ড নিয়ে যা বলা হয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে
এর আগে গত বছরের ২২ আগস্ট এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেন তারা। এরপর থেকে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। ২৪ ডিসেম্বর এ মামলায় উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ১ জানুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করেন শ্রম আদালত। মামলার অন্য তিনজন বিবাদী হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ শ্রম বিধিমালা ১০৭ বিধি ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।