গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার সঙ্গে জবাবদিহিও চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৬ পিএম
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, আমরা গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা যেমন চাই, তেমনি অপপ্রচারও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চাই। আমরা দিনশেষে চাই গুজব বা রিউমারমুক্ত গণমাধ্যম। যেখানে তথ্যের অবাধ প্রবাহ থাকবে এবং সরকার বা অথোরিটিকে অবশ্যই প্রশ্ন করা হবে। উত্তর দেওয়ার সুযোগ থাকবে এবং সমালোচনার জায়গা থাকবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন-এটকোর সঙ্গে এক সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রথম কেবিনেট মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অনেক ক্ষেত্রে সমালোচনা হবে, কিছু কিছু সমালোচনা হবে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে, সেগুলো জেনে সুধরে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তিনি চান সমালোচনা হোক সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কাজ নিয়ে যদি কোনো বিচ্যুতি বা ব্যর্থতা থাকে অবশ্যই সমালোচনা হবে। সেটা যদি প্রথম পাতায় প্রিন্ট মিডিয়া বা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় হেডলাইনে থাকে তাহলে সরকারের সেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা ব্যক্তিরা যে জবাব দেবেন। সেই জবাবগুলো যাতে একইভাবে গুরুত্বসহকারে মিডিয়ায় আসে তা নিশ্চিত করতে হবে। যেন জনগণ একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে। কারণ গণতন্ত্রে কিন্তু মানুষকে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হয় এবং ইনফর্ম ডিসিশন নিতে হয়।
আরাফাত বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করে এক ধরনের অপচেষ্টা চলে। গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের যে বিস্তৃতি ঘটেছে সেখানে কীভাবে প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো যায় এবং শৃঙ্খলা আনা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে। প্রথমেই সতর্ক থাকতে হবে, আমরা যেমন মিসইনফরমেশনকে নির্মূল করতে চাই, অপতথ্যকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চাই। কিন্তু সেটি করতে গিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সেখানে যেন ওভারস্টেপ না হয়। তবে দেশ, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত, মুক্তিযুদ্ধ ও ত্রিশ লাখ শহিদকে নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকতে পারে না। এগুলো দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড।