‘কূটনীতিকরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়ে যায় না’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম
অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেছেন, রক্তপাত কম হয়েছে সেই অর্থে বলা যায় দেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে; কিন্তু জাতীয়, আন্তর্জাতিক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে যেটিকে গ্রহণযোগ্য বলে সেই অর্থে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি।
সম্প্রতি যুগান্তরকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, নির্বাচন হলো সম্ভাব্য বিকল্পের মধ্যে থেকে কাউকে বেছে নেওয়া। এ নির্বাচনে তো কোনো বিকল্পই ছিল না। এখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগের মধ্যে নির্বাচন হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে আর স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগও ৬২ আসন পেয়েছে। নির্বাচন মানে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, বিরোধী শক্তি, ভিন্নমতাদর্শের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে লড়াই সেটি ছিলে না। এ নির্বাচনে মানুষের যে চয়নের স্বাধীনতা সেটি ক্ষুন্ণ হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বলি বা না বলি স্বীকার করি বা না করি বাংলাদেশের মাঠের অন্যতম রাজনৈতিক দল হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। তারা কিন্তু নির্বাচনে আসেনি। তারা আসলে মানুষের বিকল্প বেছে নেওয়ার যে সক্ষমতা সৃষ্টি হতো সেটি হয়নি। অন্য যে রাজনৈতিক দলগুলো- জাতীয় পার্টি তারাও ঠিকমতো দাঁড়াতে পারেনি। জাসদ-ওয়ার্কাস পার্টির মতো দল একটি আসনে টিকেছে। সবমিলিয়ে যেটা মনে হয়েছে- এককভাবে কেবলই আওয়ামী লীগ, সংসদজুড়েও সব আওয়ামী লীগেরই লোকজন। কাজেই জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি। কূটনীতিকরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়ে যায় না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এই অধ্যাপক বলেন, আমরা দেখেছি যে আমেরিকা ও ইউরোপ একটু হলেও সরকারকে চাপে রেখেছে। অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের একটা চাপ ছিল। এ কারণে তারা একটু দ্বিধায় ছিল। ভারতের সবদলের সঙ্গেই আওয়ামী লীগের সবসময় ভালো সম্পর্ক ছিল। অন্যদিকে রাশিয়ার ব্যাপারটা হলো- শক্রর শক্র বন্ধু। সে হিসেবে আমেরিকা এখানে যেটা চাচ্ছে রাশিয়া সেটার বিরোধিতা করবে।