Logo
Logo
×

জাতীয়

তদারকি টিমের অভিযান

চালের দাম কিছুটা কমেছে তবে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নয়

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩৫ পিএম

চালের দাম কিছুটা কমেছে তবে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নয়

চালের উচ্চমূল্য স্থিতিশীল করতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার তদারকি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রোববার তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীর বড় তিনটি বাজারে তদারকি কর্মকর্তারা হাজির হন। 

সরকারি তদারকির ফলে চালের দাম কমছে, তবে খুব বেশি নয়। আড়তদাররা চালের মূল্য বৃদ্ধির জন্য মিল মালিকদের দিকে আঙুল তুলছেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে তাদের এ বক্তব্য অসাড় প্রমাণিত হচ্ছে। 

এছাড়া আড়তদারদের অনেকের ফুড গ্রেইন লাইসেন্স নেই। অথচ ধান-চালের ব্যবসা করতে হলে এ লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। নামমাত্র ফি নিয়ে এ লাইসেন্স দেওয়া হয়। অজ্ঞাত কারণে তারা এ লাইসেন্স নিচ্ছেন না। অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাবুবাজারে তদারকি অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া উপসচিব আবুল আমিন রোববার যুগান্তরকে বলেন, এ বাজারে আগেও একবার অভিযান হয়েছে। দেখার চেষ্টা করছি, আগের বার এসে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল তা মানছে কিনা। তারা চালের যে মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখছেন, এর সঙ্গে ক্যাশমেমো ও চালানের কপি মিলিয়ে দেখছি। আবার যার কাছ থেকে আড়তদাররা চাল কিনেছেন তাদের মোবাইলে জিজ্ঞেস করছি প্রকৃত প্রস্তাবে তার কাছ থেকে চাল কেনা হয়েছে কিনা। 

তিনি বলেন, কিছু সমস্যা আছে তবে বাজার তদারকির ফলে এক ধরনের সচেতনতা তৈরি হয়েছে। অসৎ ব্যবসায়ীদের মনে কাঁপন ধরেছে। তারা বুঝতে পারছেন, আগের মতো যা ইচ্ছে তা করা যাবে না। তারাও সতর্ক হচ্ছেন। আশা করি, তদারকি কার্যক্রম যত জোরদার হবে, চালের বাজার ততই স্থিতিশীল হবে। 

অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে কোনো জরিমানা আরোপ করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল আমিন বলেন, এটা বাজার তদারক টিমের অভিযান। এ টিমের কাজ হচ্ছে অনিয়ম ধরা ও সতর্ক করা। এ টিম জরিমানা করবে না। জরিমানা করতে হলে মোবাইল টিম নামাতে হবে। তিনি আরও বলেন, অসৎ কাজ করে কেউ পার পাবে না-আমরা এ বার্তা বাজারে দিতে পেরেছি। 

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপসচিব শ্রাবন্তী রায়। তিনি বলেন, আগের চেয়ে চালের দাম কমেছে। ব্যবসায়ীরা দাম কমানোর পক্ষে আছেন। তবে কয়েকজন আড়তদারের ফুড গ্রেইন লাইসেন্স চেয়েও পাইনি। ফুড গ্রেইন লাইসেন্স কেন করেননি সে বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে তাদের শোকজ করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, তারা লাইসেন্স নেবেন এবং সরকারি শর্ত মেনেই ব্যবসা করবেন। 

শ্রাবন্তী রায় আরও বলেন, আড়তদারদের অভিযোগ মিল মালিকরা চালের দাম বেশি রাখছেন। তদারকি টিম তাদের বক্তব্য খতিয়ে দেখছে। সেক্ষেত্রে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি চলছে। 

মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটে তদারকি টিমে নেতৃত্ব দেন উপসচিব মশিউর রহমান। তিনি বলেন, অন্যান্য স্থানের তুলনায় এ বাজারে অনিয়ম কম দেখা গেছে। আমাদের কাজ প্রধানত ফুড গ্রেইন লাইসেন্স এবং অবৈধ মজুত আছে কিনা তা দেখা। এ মার্কেটে আমরা যা দেখেছি তা সন্তোষজনকই বলতে হবে। 

চালের দামের বিষয়ে মশিউর রহমান বলেন, চালের দামও কমতির দিকে। ব্যবসায়ীরা কম দামে কেনায় কম দামে বিক্রি করতে পারছেন।


 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম