Logo
Logo
×

জাতীয়

ব্যবসায়ী হত্যায় গ্রেফতার ১৪: হত্যার পর বিচার চেয়ে আন্দোলনে অভিযুক্তরা!

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:৪৮ এএম

ব্যবসায়ী হত্যায় গ্রেফতার ১৪: হত্যার পর বিচার চেয়ে আন্দোলনে অভিযুক্তরা!

আধিপত্য বিস্তার ও চিংড়ি ঘের দখলের ঘটনায় কক্সবাজারের চকরিয়া সাহারবিল এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয় মোহাম্মদ হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীকে। 

এরপর সেটিকে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা হিসাবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্তরাই আবার বিচার চেয়ে আন্দোলন শুরু করেন। এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যা ব। কাওরান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব।

গ্রেফতাররা হলেন মূল পরিকল্পনাকারী শহিদুল ইসলাম লিটন (৪৫), আবু জাফর (৫০), মো. সোহেল (৩৭), আজগর আলী (৪৫), আবুল হোসেন পাখী (৩৫), নাজমুল হোসাইন রকি (২৭), আবদুর রহিম (৪৮), জয়নাল আবেদীন (৫৫), শাহিন (২৩), মুহাম্মদ শাহাব উদ্দিন (৪৪), প্রদীপ কুমার শীল (৪৮), মো. রিদুয়ান (৩১), আবদুল হক (৫৫) ও মো. কাইছার (৩৫)। 

বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে র‌্যাব-৩ এর একটি দল।
সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, চকরিয়ায় ‘রামপুর সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির’সভাপতি হিসাবে গ্রেফতার আবু জাফর এবং সেক্রেটারি হিসাবে শহিদুল ইসলাম লিটন দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

নিহত মোহাম্মদ হোসেন সমিতির সদস্য হিসাবে ৭ বছর চিংড়ি ঘের এলাকার ৪৮ একর জমির মধ্যে খামার তৈরি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন। পাশাপাশি চিংড়ি ঘের পাহারার দায়িত্বেও নিয়োজিত ছিলেন। 

সমিতিটিতে প্রায় ৬০০-৭০০ সদস্য রয়েছেন। সমিতির মালিকানাধীন সাহারবিলের রামপুর মৌজায় ৫ হাজার ১১২ একরের বিশাল চিংড়ি ঘের রয়েছে। এর মধ্যে কিছু ঘের সমিতির নিয়ন্ত্রণে ছিল না। নিয়ন্ত্রণে না থাকা চিংড়ি  ঘের দখলে নিতে ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর থেকে লিটনের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে থাকেন এবং ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে কয়েকশ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেন।

র‌্যাব মুখপাত্র বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী জাফর এবং লিটন আজগর, পাখি, রকি ও রহিমকে গুলিবর্ষণের দায়িত্ব দেন। ৯ জানুয়ারি সকালে লিটনের নির্দেশে ফোন করে কৌশলে হোসেনকে চিংড়ি ঘের এলাকায় ডেকে আনা হয়। একপর্যায়ে সেখান থেকে হোসেন দুপুরের পর বাড়ি ফিরতে চাইলে লিটন ও তার সহযোগীরা রাতে মিটিং আছে জানিয়ে তাকে ফাঁকা জায়গার একটি ঘরে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন চালান।

৯ জানুয়ারি রাতে হোসেনকে পাশের লবণ চাষের খালি জমিতে নিয়ে বাকি সহযোগীদের মাধ্যমে ডাকাতির নাটক সাজিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর ঘটনাটিকে নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতা হিসাবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মিথ্যা প্রচার-প্রচারণা চালায় ও হত্যাকারীদের বিচারের জন্য আন্দোলন করতে থাকে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম