২১ বছর বয়সেই ব্যারিস্টার, কে এই বাংলাদেশি তরুণ?
মানিক রাইহান বাপ্পী
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৫ পিএম
বাংলাদেশি তরুণ গোলাম মোর্শেদ জুনিয়র শান। ছবি: যুগান্তর
মাত্র ২১ বছর বয়সে যুক্তরাজ্যের বিপিপি ইউনিভার্সিটি থেকে ‘মাস্টার্স অফ ল ইন লিগ্যাল প্র্যাকটিস (বার)’ ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন বাংলাদেশি এক তরুণ। ইতোমধ্যে তিনি বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ ব্যারিস্টার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
এর আগে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ বাকিংহাম থেকে এলএলবি অনার্স সম্পন্ন করেন। তিনিই দেশের সর্বকনিষ্ঠ ব্যারিস্টার বলে দাবি করছেন স্বজনরা।
সদ্য বার অ্যাট ল সম্পন্ন করা তরুণের নাম গোলাম মোর্শেদ জুনিয়র শান। শানের বাবা মাহমুদ মোর্শেদ প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পরে লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি সম্পন্ন করেন। তিনি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের স্বনামধন্য আইনজীবী।
কীভাবে এত অল্প বয়সে ব্যারিস্টার হওয়া সম্ভব হলো— এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোর্শেদ জানান, ছোটবেলা থেকেই তার ইচ্ছে ছিল, কম বয়সে ব্যারিস্টারি পড়াশোনা শেষ করার। ইংরেজি মাধ্যম ও লেভেল শেষ করতে যেখানে দুই বছর সময় লাগে সেখানে মোর্শেদ এক বছরে শেষ করেছেন।
আরও পড়ুন: মাত্র ২১ বছরে কীভাবে ব্যারিস্টার হলেন, জানালেন বাংলাদেশি এই তরুণ
আবার এ লেভেল যেখানে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগে সেখানে দেড় বছরে শেষ করেছেন তিনি। আবার বাংলাদেশে আইন নিয়ে স্নাতক করতে চার বছর সময় লাগলেও একই কোর্স তিনি বাকিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই বছরে শেষ করেছেন এবং এর মধ্যে তার কোনো শিক্ষা বিরতি ছিল না যার ফলে তিনি এত কম সময়ে শেষ করতে পেরেছেন।
অল্প বয়সে ছেলের এমন অর্জনে অনুভূতি প্রকাশ করে ব্যারিস্টার মাহমুদ মোর্শেদ যুগান্তরকে বলেন, ছেলে এত অল্প বয়সে এতকিছু অর্জন করেছে এতে পিতা হিসেবে অবশ্যই গর্বিত হওয়ার বিষয়। তবে আমি মনে করি, ছেলের প্রতিটি অর্জন আমার সম্পদ। আমি জমি জায়গা বাড়ি গাড়িকে সম্পদ মনে করি না।
তিনি বলেন, আমার ছেলে যে খুব মেধাবী ছিল, তা বলব না। কিন্তু তার অদম্য ইচ্ছা ও আগ্রহ এ পর্যায়ে তাকে নিয়ে এসেছে। সে কিন্তু বাংলাদেশে পড়ার সময় কখনো প্রথম ছিল না কিন্তু বিদেশে সেরা পারফরমার হিসেবে খ্যাতিও অর্জন করেছে।
শুধু তাই নয়, শানের পেপারস পরীক্ষক বোর্ডের সুপারিশের পর যুক্তরাজ্যের সিনেট থেকেও অনুমোদিত হয়েছে। তার টর্ট পেপার উত্তরটি পরের বছরগুলোয় শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথম শ্রেণির উত্তর হিসাবে একটি মডেলস্বরূপ যুক্ত করা হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অফ বাকিংহ্যামের ডিনের তালিকায়ও সম্মানিত হয়েছেন ব্যারিস্টার শান।