রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ, জামিন মেলেনি সোহেলের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০২ পিএম
ধসে পড়া রানা প্লাজা, ইনসেটে সোহেল রানা
রানা প্লাজা ধসে পড়ে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এই সময় পর্যন্ত ভবনটির মালিক সোহেল রানার জামিন স্থগিত থাকবে বলেও আদেশে বলা হয়েছে।
রানার জামিন আবেদনের শুনানি করে সোমবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে সোহেল রানার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মুনমুন নাহার।
এর আগে ২০২৩ সালের ১০ জুলাই রানা প্লাজা ধস ও হতাহতের ঘটনায় করা মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানার জামিন বিষয়ে শুনানি স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রেখেছেন আপিল বিভাগ। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
২০১৪ সালে সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ১০ তলা ভবন রানা প্লাজা ধসে হতাহতের ঘটনায় ভবনমালিক রানা ও কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে করা মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার জামিনের মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা।
তার আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৬ এপ্রিল বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি শাহেদ নুরুউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
পরে রানা প্লাজা ধস ও হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৯ এপ্রিল আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চেম্বার জজ আদালত রানাকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন স্থগিতের আদেশ দেন।
পরে গত ৮ মে রানা প্লাজা ধস ও হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আজ ১০ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত রেখেছিলেন আপিল বিভাগ।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ১০ তলা ভবন রানা প্লাজা ধসে নিহত হয় ১ হাজার ১৩৬ জন মানুষ। এই ঘটনার পাঁচ দিন পর ২৯ এপ্রিল ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পথে সোহেল রানাকে যশোরের বেনাপোল থেকে গ্রেফতার করা হয়।